বৈশ্বিক পাসপোর্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে ২০০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৮২তম। এ তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে আয়ারল্যান্ড। 

আন্তর্জাতিক ট্যাক্স ও অভিবাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নোমাড ক্যাপিটালিস্ট শুক্রবার এই বৈশ্বিক পাসপোর্ট র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। তালিকায় ১০৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে আয়ারল্যান্ড। দেশটির পাসপোর্টধারীরা ১৭৬টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন-অ্যারাইভাল ভিসার মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারেন। এই তালিকায় বাংলাদেশের স্কোর ৩৮। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ৫০টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।

পাসপোর্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ঠিক আগের অবস্থান নেপালের। দেশটির স্কোর ৩৯.

৫। বাংলাদেশের ঠিক পরে আছে মিয়ানমার, স্কোর ৩৭.৫। ভারতের অবস্থান ১৪৮তম (স্কোর ৪৭.৫) এবং তালিকায় পাকিস্তান ১৯৫তম (স্কোর ৩২) অবস্থানে রয়েছে।

তালিকায় শীর্ষ ১০টি স্থানের মধ্যে নয়টিই ইউরোপীয় দেশগুলোর দখলে। এর মধ্যে সুইজারল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দেশের পাশাপাশি লুক্সেমবার্গ ও মাল্টার মতো ছোট দেশও আছে। ইউরোপের বাইরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কধারী পাসপোর্ট হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নিউজিল্যান্ডের। দেশ দুটি যৌথভাবে ১০ম স্থানে রয়েছে।

২০২৩ সালের মার্চে নোমাড পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। এবার দেশটি ১০৬.৫ স্কোর নিয়ে ১০ম স্থানে নেমে এসেছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শাবানার আজ জন্মদিন

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি শাবানা। রবিবার (১৫ জুন) এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সিনেমার অবিস্মরণীয় এই তারকা। তার প্রকৃত নাম আফরোজা সুলতানা রত্না। কিন্তু সারা দেশের মানুষ তাকে হৃদয়ে ধারণ করে ‘শাবানা’ নামে।

মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে ‘নতুন সুর’ (১৯৬২) সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক হয় শাবানার। সেখান থেকে শুরু—তারপর এক দীর্ঘ পথচলা, যেখানে শাবানা হয়ে ওঠেন একের পর এক যুগান্তকারী সিনেমার মুখ। চার দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বাংলা সিনেমার আকাশে নিজেকে স্থায়ী নক্ষত্রে রূপান্তরিত করেন।

‘ভাত দে’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘ওরা এগারো জন’, ‘চাঁপা ডাঙার বউ’, ‘আক্রোশ’, ‘রাঙা ভাবি’, ‘বাংলার নায়ক’—এমন অসংখ্য কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের মনে দাগ কেটেছেন শাবানা। জনপ্রিয়তা ও অভিনয়গুণে অনন্য এক শিল্পী, যিনি রোমান্স থেকে শুরু করে সমাজধর্মী, দেশপ্রেম বা পারিবারিক—সব ধরনের চরিত্রে নিজেকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন।

আরো পড়ুন:

‘অত্যাচারী’ স্বামীর মৃত্যুতে কারিশমার শোক, যা বললেন জয়া

দর্শক বলছেন আমি যেন শুভ ভাইকে বিয়ে করি: মন্দিরা

অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাবানা। প্রযোজক হিসেবেও পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। নাট্য ও সংস্কৃতি জগৎ থেকেও অর্জন করেছেন বাচসাস, নাট্যসভা, ললিতকলা একাডেমি ও কথক একাডেমি পুরস্কার।

ব্যক্তিজীবনে ১৯৭৩ সালে বিয়ে করেন সরকারি কর্মকর্তা ও প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিককে। তিন সন্তানের জননী শাবানা ১৯৯৭ সালে হঠাৎ করেই অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নেন। ২০০০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।

অভিনয়ে ফিরবেন কি না, সে প্রশ্ন বহুবার উঠেছে। কিন্তু শাবানা এমন এক নাম, যার অবদান আর স্মৃতিময়তা কখনো ম্লান হওয়ার নয়।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ