ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশের কাঁচপুর থেকে মেঘনা সেতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে মহাসড়কের ঢাকাগামী ও চট্টগ্রামগামী লেনের কাঁচপুর থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায়।

লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের যাত্রাকে ঘিরে লক্ষ লক্ষ মানুষের আগমনের কারণে এ যানজট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। এদিকে যানজটের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মস্থলে যাওয়া যাত্রীরা।

জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর, জাঙ্গাল, লাঙ্গলবন্দসহ কয়েকটি পয়েন্টে পুণ্যার্থীরা যানবাহন থেকে নেমে রাস্তা পারাপারের কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পুণ্যার্থীদের আগমনের কারণে মহাসড়কে ভোর থেকেই যানবাহনের চাপ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, তীব্র যানজটের কারণে অধিকাংশ লোককেই পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। অনেকেই আবার তীব্র যানজটের কারণে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি কাজে বের হওয়া নারী ও বৃদ্ধরা। এদিকে বিভিন্ন যানবাহনে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

মনির হোসেন নামের এক চাকরিজীবী বলেন, মালিবাগ যাওয়ার জন্য ৩০ মিনিট আগে কাঁচপুর মোড় থেকে বাসে উঠেছি। কিন্তু রাস্তায় এত যানজট যে, বাস এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।

শ্যামলী আক্তার নামের আরেক যাত্রী জানান, দীর্ঘক্ষণ বাসে বসে আছি। কতক্ষণ রাস্তার এই অবস্থা থাকবে জানি না। 

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, ঈদের ছুটি থাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ রয়েছে এছাড়া লাঙ্গলবন্দের পুণ্যস্নানে প্রচুর পুণ্যার্থী আসায় গাড়ির চাপ বাড়ছে তাই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের একাধিক টিম মহাসড়কে কাজ করছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ য নজট র র য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ