স্নানোৎসব থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০
Published: 5th, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে হিন্দু ধর্মালম্বীদের স্নানোৎসব থেকে যাত্রী নিয়ে ফেরার পথে রূপগঞ্জে একটি লেগুনা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানকে ধাক্কা দিয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৫ এপ্রিল) রূপগঞ্জ বিশ্ব রোডের যাত্রামুড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আহতদের সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান আহত এক নারীর স্বামী সোহাগ দাশ।
আরো পড়ুন: লাঙ্গলবন্দে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসব শুরু
আরো পড়ুন:
খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, সেনা সদস্যের মৃত্যু
লোহাগড়ায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের
আহতরা হলেন- বাসন্তী রানী দাস (৫২) ও তার দুই মেয়ে শীলা রানী দাস (২৬) ও শিল্পী রানী দাস (২৮), ছোয়ারানী দাস (৫), বিশ্বনাথ দাস (৪৮), অমূল্য দাস (৫০), চায়না রানী দাস (৫০), মিলনী রানী দাস (৪৫), ঈশান দাস (৬) ও সুমিত্রা রানী (৬০)।
আহত শিল্পী রানী দাসের স্বামী সোহাগ দাশ বলেন, “আমরা সবাই ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা। আজ নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে আমাদের স্নান ছিল। প্রতিবেশী কয়েকটি পরিবারসহ আমরা সবাই লাঙ্গলবন্দে স্নান করতে যাই। সেখান থেকে সবাই মিলে একটি লেগুনা ভাড়া করে বাড়ি ফিরছিলাম।”
তিনি আরো বলেন, “রূপগঞ্জ বিশ্ব রোডের যাত্রামুড়া এলাকায় আমাদের বহনকারী লেগুনাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় লেগুনায় থাকা নারী ও শিশুসহ ১০ জন আহত হন। তাদের অনেকেই মাথায় আঘাত পেয়েছেন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।”
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো.
ঢাকা/অনিক/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত ল ঙ গলবন দ র পগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।