ভারতের জনপ্রিয় টিভি রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর ১৫তম আসরে বিজয়ী হয়েছেন কলকাতার মানসী ঘোষ। প্রথমবার কোনো বাঙালি ছিনিয়ে আনলেন এই পুরস্কার। এ প্রতিযোগিতায় ফার্স্ট রানার-আপ নির্বাচিত হয়েছেন শুভজিৎ চক্রবর্তী। রবিবার (৬ এপ্রিল) রাতে এ সিজনের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়।

ইন্ডিয়া টুডের তথ্য অনুসারে, বিজয়ী মানসী ঘোষ ট্রফির পাশাপাশি নগদ ২৫ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ লাখ টাকার বেশি) পেয়েছেন। তা ছাড়াও একটি ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি পেয়েছেন এই গায়িকা। এ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে জায়গা পেয়েছেন শুভজিৎ ঘোষ এবং স্নেহা শঙ্কর। তারা দুজনেই পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ৫ লাখ রুপি করে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মানসী ঘোষ বলেন, “আমি যে ট্রফি জিতেছি তা আমার মনে এখনো ধাক্কা দেয়নি। আমার মাথায় এখন অনেক কিছু ঘুরছে। আমি সত্যি অভিভূত।”

আরো পড়ুন:

‘চাঁদ মামা’ গানে শেহতাজের নানির নাচ (ভিডিও)

মারাত্মক আহত পুত্রকে নিয়ে যা জানালেন কুমার বিশ্বজিৎ

উত্তর চব্বিশ পরগনার, উত্তর দমদম পৌরসভার নিমতা পাইকপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন মানসী। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা। ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে পা রেখে পরিচিতি পেয়েছেন। আনন্দের এই সময়ে উপস্থিত হয়েছিলেন তার বাবা-মা। মেয়ের বিজয়ে কাঁদতে দেখা যায় তাদের।

পরে স্ক্রিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথা বলেন মানসী ঘোষ। এ গায়িকা বলেন, “ফাইনাল আসরে আমার পরিবার উপস্থিত ছিলেন। তারা কাঁদছিল, উল্লাস করছিলেন। আমি একেবারেই নীরব ছিলাম। কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব তা বুঝতে পারছিলাম না। আমরা সবাই সত্যি খুশি। জীবন পুরোপুরি বদলে গেল। এটি একটি জাতীয় প্ল্যাটফর্ম। সবার কাছ থেকে প্রচুর ভালোবাসা, আশীর্বাদ পেয়েছি।”

পুরস্কারের অর্থ কীভাবে ব্যয় করবেন তা-ও জানিয়েছেন মানসী। এ গায়িকা বলেন, “পুরস্কারের কিছু অর্থ আমার স্বাধীন সংগীত এবং আমি যে গাড়ি ব্যবহার করব তার জন্য ব্যয় করতে চাই।”

ইন্ডিয়ান আইডলের এবারের সিজনে প্রথম থেকেই বাঙালিদের জয়জয়কার। সেরা পনেরোর তালিকায় জায়গা করে নেন বাংলার ৭ তারকা। সেখান থেকে সেরা পাঁচে জায়গা পান মানসী ঘোষ, শুভজিৎ চক্রবর্তী, প্রিয়াংশু।

এবারের গ্র্যান্ড ফিনালে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন— শ্রেয়া ঘোষাল, বিশাল দাদলানি, বাদশা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

আবার ‘লাস্ট মিনিট শো’, জন্মদিনের রাতে স্লটকে জয় উপহার ফন ডাইকের

লিভারপুল ৩–২ আতলেতিকো মাদ্রিদ

জন্মদিনের রাতে এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী হতে পারে!

রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই মাঠে ঢুকে পড়লেন আর্নে স্লট। লিভারপুলের সমর্থকেরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে থাকলেন, দল জেতায় অভিনন্দনও জানালেন। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে হাত নেড়ে স্লট সেই অভিবাদনের জবাব দিলেন।   

ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে আলিঙ্গনের সময় স্লটকে একটু বেশিই খুশি মনে হলো। কারণ, লিভারপুল অধিনায়ক ফন ডাইক ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত না হলে তাঁর বিশেষ রাতটা যে অনেকটাই পানসে হয়ে যেত!

২০২৫–২৬ মৌসুমে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল করাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে লিভারপুল। যেটিকে বলা হচ্ছে লাস্ট মিনিট শো, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নাম দিয়েছে স্লট টাইম।

এবার সেই শো–এর নায়ক ফন ডাইক। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে তাঁর হেডারেই আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্রয়ের পথে থাকা ম্যাচটা ৩–২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে শুভসূচনা করল লিভারপুল।

এ নিয়ে এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল লিভারপুল। সবকটি ম্যাচে অলরেডরা জয়সূচক গোল করল ৮০ মিনিটের পর; এর তিনটিই যোগ করা সময়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ