মুম্বাইয়ের ঘরে ১০ বছর পর জিতল বেঙ্গালুরু, কোহলির জন্য ১৩৮ ডেসিবলে চিৎকার
Published: 7th, April 2025 GMT
কাগজে–কলমে লড়াইটা মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। অন্য চোখে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সে লড়াইয়ে রোহিত পারেননি। কিন্তু রোহিতের ঘরের মাঠে মানে মুম্বাইয়ের মাঠে কোহলি পেরেছেন। তাহলে ম্যাচের ফলটা কী বলুন তো?
ম্যাচটি যাঁরা দেখেননি, প্রশ্নটি তাঁদের জন্য। দেখলে তো ফল জানাই। না, গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট এ লড়াইয়ে কোনো অনিশ্চয়তা বা অভাবনীয় ফলের জন্ম দেয়নি। তারকাদ্যুতি, অভিজ্ঞতা বিচারে মুম্বাইয়ের সবচেয়ে বড় তারকা রোহিত যেমন এবার আইপিএলে আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ, তেমনি হেরেছে তাঁর দল মুম্বাইও।
বেঙ্গালুরুর ৫ উইকেটে ২২১ রান তাড়া করতে নেমে ১২ রানে হেরেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। বেঙ্গালুরুর এই জয়ে তাঁদের সবচেয়ে বড় তারকা কোহলির ব্যাট কিন্তু চওড়া হয়ে উঠেছে। ৪২ বলে করেন ৬৭ রান।
আরও পড়ুনকাল সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন তামিম২ ঘণ্টা আগেমুম্বাই একেবারে খারাপও করেনি। টক্কর দিয়েছে ভালোই। জয়ের জন্য শেষ ওভারে হাতে ৪ উইকেটে রেখে ১৯ রানের দূরত্বে পিছিয়ে ছিল মুম্বাই। কাগজে–কলমে লক্ষ্যটা অসম্ভব না হলেও ব্যাটসম্যান যে ছিল না। ক্রুনাল পান্ডিয়ার করা শেষ ওভারে ৬ রান তোলার পথে ৩ উইকেট হারায় মুম্বাই। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২০৯ রানে থেমেছে তাদের ইনিংস।
মোট ৪৩০ রানের এই ম্যাচ জিতে বেঙ্গালুরু এবার বেশ অদ্ভুত এক ধারাও বজায় রাখল। এবার আইপিএলে এ পর্যন্ত ৪ ম্যাচের মধ্যে প্রতিপক্ষের মাঠে তিন ম্যাচের সব কটিতেই জিতেছে বেঙ্গালুরু। হেরেছে শুধু নিজের মাঠে। এবার চিপকে জিতেছে ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো, আজ ওয়াংখেড়েতে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুর গত ১০ বছরের মধ্যেও প্রথম।
রায়ান রিকেলটনের উইকেট নিয়ে বেঙ্গালুরুর উদ্যাপন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।