অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে রাখা অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহ সদরের রেনেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পরীক্ষার আগের দিন বুধবার দুপুর ২টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন ছাত্রী ও অভিভাবকরা। এ সময় প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন না। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এসএসসি পরীক্ষার সব সরকারি ফি পরিশোধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীর এক টাকাও বকেয়া নেই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অন্যায়ভাবে অতিরিক্ত টাকার জন্য প্রবেশপত্র আটকে রেখেছেন। আগামীকাল পরীক্ষা থাকা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক প্রবেশপত্র না দিয়ে তার বাসায় নিয়ে তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও এক ছাত্রীর অভিভাবক মো.

ফারুক হোসেন সমকালকে বলেন, যেসব ছাত্রী উপবৃত্তি পায় তাদের কাছে অতিরিক্ত ১৬০০ টাকা দাবি করেন প্রধান শিক্ষক। আর যারা উপবৃত্তি পায় না তাদের কাছে দাবি করেন ২ হাজার টাকা। এই টাকা না দিলে তিনি প্রবেশপত্র দেবেন না বলে জানিয়েছেন। 

আরেক অভিভাবক মমতাজ মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে বিদ্যালয় কোনো টাকা পায় না। অতিরিক্ত টাকার জন্য প্রবেশপত্র আটকে রাখা হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত।

এ বিষয়ে জানার জন্য প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীনের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।  

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার বলেন, ছাত্রীরা আগেই সব টাকা পরিশোধ করেছে। প্রধান শিক্ষক ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রবেশপত্র আটকে রেখেছেন। আমি সকালে এসে দেখি শিক্ষার্থীরা এখানে বিক্ষোভ করছে। পরে স্কুলের পিয়নের কাছে শুনলাম তিনি প্রবেশপত্র বাসায় নিয়ে গেছেন। অতিরিক্ত টাকা তার বাসায় পৌঁছে দিলে তিনি প্রবেশপত্র দেবেন বলে জানিয়েছেন।

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু সায়েম হাসান সমকালকে বলেন, এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। এটি সত্য হলে প্রধান শিক্ষককে পুলিশে দেওয়া দরকার। আমি শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের সচিব সাখাওয়াত হোসেন বলেন, টাকার জন্য কোনো পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র আটকে রাখা যাবে না। প্রয়োজনে আমরা শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে প্রবেশপত্র দিয়ে আসব। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ এসএসস ট ক র জন য পর ক ষ র

এছাড়াও পড়ুন:

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত এসএসসি প্রোগ্রামের মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় ২০২৬-২০২৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভর্তির যোগ্যতা জেএসসি পাস হতে হবে। জেএসসি ছাড়াদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

ভর্তির দরকারি তারিখ—

১. অনলাইনে ভর্তি এবং আবেদনের তারিখ শেষ তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৬।

২. অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের সনদবিহীন ভর্তি-ইচ্ছুকদের ভর্তি পরীক্ষা : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬।

৩. ওরিয়েন্টেশন ও টিউটোরিয়াল ক্লাস শুরু : ১৫ মে ২০২৬।

ভর্তির যোগ্যতা—

১. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণ হতে হবে। (ভর্তির তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।

২. সরাসরি অনলাইন ভর্তির জন্য: osapsnew.bou.ac.bd

ভর্তির যোগ্যতা(জেএসসি ছাড়া) —

১. যেসব শিক্ষার্থীর জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের সনদপত্র নেই তারাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৪ বছর (৩১/১২/২০২৫ তারিখে)।

২. এসব আবেদনকারীকে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বাউবি কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

৩. এ জন্য ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফরম ফি বাবদ ৩০০ টাকা দিতে হবে।

৪. ভর্তি পরীক্ষার বিষয়, মানবণ্টন, তারিখ ও পরীক্ষা কেন্দ্র এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য বাউবি’র ওয়েবসাইট, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং স্টাডি সেন্টার থেকে পাওয়া যাবে। (অনলাইনে আবেদনের তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।

প্রয়োজনীয় কাগজ যা লাগবে—

১. দুই কপি ছবি।

২. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণের সনদ।

৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।

ভর্তি ও অন্যান্য ফি—

অনলাইন আবেদন ফি: ১০০ টাকা,

রেজিস্ট্রেশন ফি : ১০০ টাকা,

কোর্স ফি (প্রতি কোর্স ৫২৫ টাকা): ৩৬৭৫ টাকা,

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) ব্যবহারিক ফি: ১০০ টাকা,

একাডেমিক ক্যালেন্ডার ফি:৫ টাকা,

ডিজিটাল আইডি কার্ড ফি: ২০০ টাকা,

পরীক্ষা ফি (প্রতি কোর্স ৫০ টাকা) : ৩৫০ টাকা,

প্রথম বর্ষ নম্বরপত্র ফি : ৭০ টাকা,

মোট আবেদন ফি: ৪৬৯৬ টাকা।

বিজ্ঞান শাখার জন্য দুটি ব্যবহারিক কোর্সের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রদত্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী একই রকম হতে হবে।

২. জেএসসি বা জেডিসি পাসের ক্ষেত্রে জেএসসি বা জেডিসি সনদ অনুযায়ী হতে হবে। ২০২০ সাল কিংবা তার পরবর্তীতে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণি পাশ সনদে বা প্রমাণকে বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। সনদবিহীনদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী হতে হবে।

৩. তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা কোর্স ফির শতকরা ৬০ ভাগ ছাড় পাবেন।

# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি