বাংলা নববর্ষের এবারের শোভাযাত্রায় বাঙালি ছাড়াও ২৭টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেছেন, ‘দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক বিভাজনকে আমরা সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।’

আজ বুধবার বাংলা নববর্ষ এবং পাহাড় ও সমতলের জাতিগোষ্ঠীদের বর্ষবরণ উৎসব নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

নববর্ষের শোভাযাত্রায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন (বাম্বা) যুক্ত হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা ফারুকী। ২০০ গিটারিস্টসহ শোভাযাত্রায় অংশ নেবে বাম্বা। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা ‘ফ্রম দ্য রিভার টু সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ গানটি গাইবে।

নববর্ষ দিনের অনুষ্ঠান সম্পর্কে সংস্কৃতি উপদেষ্টা জানান, প্রতিবারের মতো এবারও ছায়ানটের অনুষ্ঠান হচ্ছে। তবে স্থান বদলে সুরের ধারার অনুষ্ঠানটি এবার রবীন্দ্র সরোবরে হবে।

সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সুরের ধারা এবার বাংলা গানের বাইরেও ভিন্ন আয়োজন রাখবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

নববর্ষের শোভাযাত্রায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন (বাম্বা) যুক্ত হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা ফারুকী। ২০০ গিটারিস্টসহ শোভাযাত্রায় অংশ নেবে বাম্বা। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা ‘ফ্রম দ্য রিভার টু সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ গানটি গাইবে।

এ ছাড়া চীনা দূতাবাসের আয়োজনে নববর্ষের দিন বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে একটি ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ’২৪–এর জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আয়োজন থাকবে।

নববর্ষের শোভযাত্রা মধ্যবিত্তদের চালু করা। তবে এর সঙ্গে ফসল–সম্পর্কিত ছিল। যেকোনোভাবে হোক আমাদের শোভাযাত্রায় এগুলো স্থান পায়নি। এবারের শোভাযাত্রায় কৃষক একটি বড় থিম হিসেবে থাকবে।মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, সংস্কৃতি উপদেষ্টা

শোভাযাত্রার বড় অংশজুড়ে বাংলার লোকসংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘নববর্ষের শোভাযাত্রা মধ্যবিত্তদের চালু করা। তবে এর সঙ্গে ফসল–সম্পর্কিত ছিল। যেকোনোভাবে হোক আমাদের শোভাযাত্রায় এগুলো স্থান পায়নি। এবারের শোভাযাত্রায় কৃষক একটি বড় থিম হিসেবে থাকবে।’

শোভাযাত্রার নাম কী হবে, তা আগামীকাল জানা যাবে বলেও জানান মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নববর ষ র শ ভ য ত র উপদ ষ ট অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।

অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।

এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।

২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • সানসিল্কের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
  • গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল: প্রথমবারের মতো বলল জাতিসংঘ
  • ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া