চাঁদপুরের মতলবে সরকারি খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে এবং খালপাড় দখল নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বশির প্রধানীয়া (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার বহরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বশির প্রধানীয়া বহরী গ্রামের মৃত বাদশা প্রধানীয়ার ছেলে।
পরিবার ও পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বহরী গ্রামের কৃষক বশির প্রধানীয়া ও রমিজ উদ্দিন বয়াতীর মধ্যে সরকারি খালপাড়ের দখল ও খালের মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে ওই দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে এ নিয়ে পুনরায় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরদিন বুধবার দুপুরে খালে মাছ ধরতে যান বশির প্রধানীয়া ও তার দুই ছেলে। এ সময় রমিজ উদ্দিন দলবল নিয়ে তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বশির প্রধানীয়া আহত হন। চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বশির প্রধানীয়ার মেয়ে তাহমিনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘‘খালপাড় দখল ও সেখানে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধের জেরে তার বাবা ও ভাইদের বেধড়ক পিটিয়েছেন রমিজ উদ্দিন। তার লাঠির আঘাতেই বাবা মারা গেছেন। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’’
অভিযোগের বিষয়ে রমিজ উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তবে স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
অমরেশ//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল