আট মাস পর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুলসহ ৩২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
Published: 9th, April 2025 GMT
জুলাই অভ্যুত্থানে বরফ কারখানার এক কর্মচারীকে গুলি করে খুনের অভিযোগে আট মাস পর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৩২৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহত ইউসুফের বাবা মো. ইউনুস বাদী হয়ে আজ বুধবার চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করেন।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট গুলিতে ইউসুফ নামের এক ব্যক্তি নিহত হন বলে মামলায় বলা হয়েছে। নিহত ইউসুফ স্থানীয় একটি বরফ কারখানার কর্মচারী ছিলেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।
মামলায় মহিবুল ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন, এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চসিক কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, জাফর আলম চৌধুরী, তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, যুবলীগ নেতা আরশাদুল আলম, নুরুল আজিম, দিদারুল আলমসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রাখা হয় আরও ৩০০ জনকে।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিহত ইউসুফ সরকারিভাবে ঘোষিত জুলাই-আগস্ট শহীদ। তাঁর বাবা মামলা করেছেন এবং পুলিশ তা রেকর্ড করে তদন্ত শুরু করেছে।’
ইউসুফের বাবা মো.
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ইউসুফ দেওয়ানহাট এলাকায় বিভিন্ন দোকানে বরফ সরবরাহ করছিলেন। রাত ১১টার দিকে ইউসুফের স্ত্রীর বড় বোনের কাছ থেকে ফোন পান, ইউসুফ ডবলমুরিং এলাকায় সহিংসতায় গুলিতে নিহত হয়েছেন। তাঁর মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে তাঁকে হাটহাজারীতে দাফন করা হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অভিযুক্তরা পরস্পরের সঙ্গে যোগসাজশে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়, এতে প্রাণহানি ঘটে।
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টে চট্টগ্রাম নগরে গুলি ও সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ১১।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কালিয়াকৈরে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রবিবার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার সাহেববাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, গত ১৪ জুন কালিয়াকৈর উপজেলা, পৌরসভাসহ জেলার আটটি ইউনিটের কমিটি বাতিল করে গাজীপুর জেলা বিএনপি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। পরে শনিবার (১৪) সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌরসভার কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সিকদার, সদস্য সচিব করা হয়েছে এম আনোয়ার হোসেনকে। কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে মামুদ সরকার ও সদস্য সচিব করা হয়েছে মহসিন উজ্জামানকে।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদ গ্রুপ কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন । আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে শনিবার (১৪ জুন) রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করে নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীর অনুসারীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পারভেজ গ্রুপের কর্মীরা।
একই দাবিতে রবিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী পারভেজ আহমেদের পক্ষ নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে। এ সময়ে নতুন কমিটির পক্ষ থেকে আরেকটি মিছিল বের হলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়।
পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এখনো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, সকাল থেকে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া হলেও এখনো পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল