মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে তিন প্যাকেট বেনসন সিগারেটের দাম নেওয়ায় অভিযুক্ত সেই পুলিশ সদস্যকে টাঙ্গাইল জেলায় বদলি করা হয়েছে। তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত রোববার পাসপোর্ট হারানো বিষয়ে সালমান কবীর নামে এক ভুক্তভোগী সিরাজদীখান থানায় গেলে এএসআই মাহফুজুর রহমান তাঁর কাছ থেকে তিন প্যাকেট বেনসন সিগারেট বা এর সমমূল্য ১ হাজার ২০০ টাকা ঘুষ নেন। এ বিষয়ে পরদিন সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরই বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানতে পারেন। 

এ বিষয়ে সিরাজদীখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন জানান, অভিযুক্ত এএসআই মাহফুজুর রহমানকে টাঙ্গাইল জেলায় বদলি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, শুধু বদলি নয়, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সিরাজদীখান থানা সূত্রে জানা গেছে, এএসআই মাহফুজুর রহমানের বদলির আদেশ এক মাস আগেই হয়েছিল। কি কারণে তিনি কর্মস্থল ছেড়ে যাননি, সে বিষয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী

বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।

কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।

মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।

‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ