মেক্সিকোর ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিলেন ট্রাম্প
Published: 11th, April 2025 GMT
দুই দেশের মধ্যে পানি বণ্টন নিয়ে বিরোধের জেরে মেক্সিকোর ওপর নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ৮১ বছরের পুরনো চুক্তি ভঙ্গ করা এবং ‘টেক্সাসের কৃষকদের কাছ থেকে পানি চুরি’ করার অভিযোগ এনেছেন তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৪৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে পানি বন্টন চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, মেক্সিকোকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর আন্তঃসংযুক্ত বাঁধ এবং জলাধারের মাধ্যমে রিও গ্রান্ডে থেকে ১ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন একর-ফুট পানি যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে হবে। এক একর ফুট পানি দিয়ে অলিম্পিকের আকারের প্রায় অর্ধেক সুইমিং পুল ভরে যায়।
আন্তর্জাতিক সীমানা ও পানি কমিশনের তথ্য অনুসারে, বর্তমান পাঁচ বছরের জলচক্র অক্টোবরে শেষ হচ্ছে, কিন্তু মেক্সিকো প্রয়োজনীয় জলের ৩০ শতাংশেরও কম পাঠিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “১৯৪৪ সালের পানি চুক্তির অধীনে মেক্সিকো টেক্সাসের কাছে ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন একর-ফুট পানি পাওনা, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মেক্সিকো তাদের চুক্তির বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করছে। আমার কৃষিমন্ত্রী ব্রুক রোলিন্স টেক্সাসের কৃষকদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন এবং আমরা শুল্ক এবং এমনকি নিষেধাজ্ঞাসহ ব্যবস্থা নিতে থাকব, যতক্ষণ না মেক্সিকো চুক্তিটি সম্মান করে এবং টেক্সাসকে তাদের পাওনা পানি না দেয়।”
মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমের কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানের রাস্তায় রাস্তায় ‘হিটেড বেঞ্চ’
জাপানের টোকিও, সাপোরো এবং ওসাকার মতো বড় বড় শহরগুলোর রাস্তায় হিটেড বেঞ্চ বসানো হয়েছে। তীব্র শীতের রাতে গৃহহীন মানুষদের উষ্ণতা এবং স্বস্তি দেওয়াই এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।এই বেঞ্চগুলো সৌরশক্তি চালিত হয়ে থাকে।
হিটেড বেঞ্জগুলো দিনের বেলায় সূর্যের আলো থেকে তাপ সংগ্রহ করে বিশেষ "ফেজ-চেঞ্জ মেটেরিয়াল" ব্যবহার করে তা সংরক্ষণ করে। এরপর সংরক্ষিত তাপ রাতে ধীরে ধীরে নির্গত হয় এবং প্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত উষ্ণতা সরবরাহ করতে পারে। এটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী।
আরো পড়ুন:
কারা বেশি কাঁদেন?
যেসব কারণে মানুষ স্বর্ণ জমায়
হিটেড বেঞ্চের জন্য কোনো অতিরিক্ত জ্বালানী বা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। এই মানবিক উদ্যোগটি জাপান সরকারের একটি সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ, যা নগর পরিকল্পনায় উদ্ভাবন এবং সামাজিক কল্যাণের এক চমৎকার উদাহরণ বলছেন দেশটির নাগরিকেরা।
ঢাকা/লিপি