মতলবের মুন্সীরহাটে ফের আগুন, পুড়ে ছাই ১৮ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
Published: 11th, April 2025 GMT
চাঁদপুরের মতলব মুন্সীরহাট বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৮টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মুন্সীরহাট বাজারের নবীরের হার্ডওয়ারের দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ও স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় এক ঘণ্টা পর আগুনে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে এখনও আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
পুড়ে যাওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো- শরীফের রঙের দোকান, মুক্তারের হার্ডওয়ারের দোকান, গণেশের স্বর্ণের দোকান, নবীরের হার্ডওয়ারের দোকান, বিল্লাল ও আলমের মুদি দোকান, হক ফার্মেসি, কুমিল্লা মিষ্টির ভান্ডার, একটি সেলুন ও মনির হোসেন মার্কেটের কয়েকটি দোকানসহ মোট ১৮টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, নবীরের রংয়ের দোকান থেকে লাগা আগুনে তাদের সব শেষ হয়ে গেছে। প্রতিটি দোকানের মালামাল ও অবকাঠামো পুড়ে শেষ। কিছুই রক্ষা করা যায়নি।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, সকাল সাড়ে সাতটায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ১৫ মিনিট পর ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে উৎসুক জনতার কারণে আগুণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হিমশিম খেতে হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে ঘটনার দুই ঘণ্টা পর মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমজাদ হোসেন।
এর আগে মুন্সীরহাট বাজারে সম্প্রতি আরও একবার অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওইসময় সড়কের পশ্চিম পাশের প্রায় ১৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে যায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মতলব
এছাড়াও পড়ুন:
বাবা মারা গেছেন ৭ দিন আগে, আজ বাসচাপায় প্রাণ গেল ছেলেরও
মাত্র সাত দিন আগে বাবা মারা গেছেন। আজ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ছেলে। চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেলচালক মো. মুরাদ (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বরদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মুরাদ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা সদ্যপ্রয়াত মো. শাহজাহানের ছেলে। তিনি ঢাকার উচ্চ আদালতে কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পরিবার, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের ছুটিতে মুরাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা গ্রামের বাড়িতে আসেন। মুরাদ তখন ঢাকায় ছিলেন। ছুটি শেষে আজ সকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের আনতে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। দুপুর ১২টার দিকে বরদিয়া এলাকায় পৌঁছালে চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী ‘জৈনপুর এক্সপ্রেস’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মুরাদ বাসের নিচে চাপা পড়েন। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মুরাদের চাচাতো ভাই মোবারক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ আগে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর (মুরাদ) বাবা মারা যান। সপ্তাহ না যেতেই আজ দুর্ঘটনায় মারা গেল মুরাদ। এত অল্প সময়ের মধ্যে পরিবারের দুজন সদস্যের মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। এ ঘটনায় পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্ত্রী-সন্তানদের আর ঢাকায় নেওয়া হলো না তাঁর। এর আগেই সব শেষ।’
মুরাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ওই বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।