কুড়িগ্রামে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব রোধ, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের দাবিতে কুড়িগ্রামে জলবায়ু ধর্মঘট ও পদযাত্রা করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ ও ইয়ুথনেট গ্লোবালের উদ্যোগে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে পদযাত্রা করে জেলা শহরের জিরো পয়েন্টে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে ধর্মঘট ও পদযাত্রাটি শেষ হয়। 

কাপড়ের তৈরি ব্যানার, রঙিন কাগজের তৈরি পোস্টার, ফেস্টুন আর নানা স্লোগানে মুখরিত ছিল সমাবেশস্থল ও পদযাত্রাটি। এ সময় ‘ভূয়া সমাধান নয়, নবায়নযোগ্য শক্তি চাই’ এমন নানা স্লোগান দেন অংশ নেওয়া তরুণরা। তারা বলেন, জ্বালানি নীতিতে নবায়নযোগ্য শক্তিকে অগ্রাধিকার না দিলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত হুমকির মুখে পড়বে। বিশ্বনেতাদের প্রতি পদযাত্রা থেকে আহ্বান জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার ও অর্থায়ন বন্ধ করে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। 

ইয়োথনেট গ্লোবালের রংপুর বিভাগীয় উপদেষ্টা সুজন মোহন্ত বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে হলে জ্বালানি নীতিতে নবায়নযোগ্য উৎসগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুতে বিশ্বের উন্নত দেশ এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে।’

ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ কুড়িগ্রামের সহকারী প্রজেক্ট অফিসার মো.

নুরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই বহুজাতিক ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাশ্ব জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারের সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ব্যায়বহুল ও দূষিত জীবাশ্ম জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আরও বাড়বে, যা জলবায়ু লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা এ পরিকল্পনা দ্রুত সংশোধনের দাবি জানাই।

জলবায়ু ধর্মঘটে আরও বক্তব্য দেন ইয়ুথনেট গ্লোবালের রংপুর বিভাগীয় সহ-সমন্বয়কারী খাদিজুল আক্তার, জেলা টিমের সদস্য জান্নাতুল ফিরদাউস মিম, আবিদা সুলতানা, মার্জিয়া মেধা, বিডি ক্লিনের জেলা সমন্বয়ক তারেক খান, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের জেলা সহকারি প্রজেক্ট অফিসার আনোয়ার সাদাত প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ও পদয ত র জলব য় ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদেও আইএসআই প্রধান মালিক

পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বর্তমান মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারিভাবে দেশের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের বর্তমান মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিককে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি পাকিস্তানের দশম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। 

গত মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেনারেল মালিক আইএসআই মহাপরিচালক হিসেবে তার বর্তমান পদেও বহাল থাকবেন।২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি এই পদে রয়েছেন। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

তার এই নিয়োগের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো একজন আইএসআই প্রধান একই সঙ্গে এনএসএ'র দায়িত্ব পেলেন। সম্প্রতি ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক উত্তেজনার মধ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক নতুন দায়িত্ব পাওয়ার খবর এলো। 

২০২২ সালের এপ্রিলে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকার অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানের এনএসএ পদটি শূন্য ছিল। সে সময় মঈদ ইউসুফ এনএসএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ