Prothomalo:
2025-06-16@06:20:08 GMT

এই নারাইনের রহস্য ভেদ করবে কে

Published: 12th, April 2025 GMT

‘বলতে পারেন অনেকটাই। আশা করি, পরেরবার একটা ভালো ক্যাচও নেব।’

বল হাতে নিয়েছেন ৩ উইকেট, ব্যাট হাতে ১৮ বলে ৪৪ রান। চেন্নাই সুপার কিংসকে ১০৩ রানে আটকে দিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স যে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলেছে, তাতে মূল অবদান সুনীল নারাইনেরই। খেলা শেষে ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে তুলে দেওয়ার তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, নিখুঁত একটা ম্যাচ খেললেন, তাই না?

তখনই ‘ভালো ক্যাচের ঘাটতি’র কথা নারাইনের মুখে। বিজয় শঙ্করের ক্যাচ মিস করেছিলেন, ইঙ্গিত করেছিলেন সেদিকেই। ক্যাচ মিসের ঘটনাটি বাদ দিলে চিপকে চেন্নাইয়ের বিব্রতকর হারের মূল অনুঘটকই নারাইন। তবে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল একটু সান্ত্বনা নিতেই পারে। এই নারাইন শুধু চেন্নাইকে নয়, বছরের পর বছর বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিচ্ছেন সব দলকেই। যার বড় প্রমাণ দুটি নতুন রেকর্ডে।

চেন্নাইয়ের বিপক্ষে নারাইন ৩ উইকেট নিয়েছেন ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে। আইপিএলে ম্যাচ ৪ ওভার বোলিং করে ১৫ রানের কম দিলেন এ নিয়ে ১৩ বার। আইপিএলের দেড় যুগের ইতিহাসে এটি কিপটে বোলিংয়ে নতুন রেকর্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ বার এমন বোলিংয়ের কীর্তি আছে স্পিনার রশিদ খানের।

রশিদ আফগানিস্তানের খেলোয়াড়, আইপিএল অভিষেকও নারাইনের বেশ পরে (২০১৭ সালে, নারাইনের ২০১২)। তবে ৩৬ বছর বয়সী এই ক্যারিবীয় ক্রিকেটার একই ম্যাচে পেছনে ফেলেছেন ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেও।

আইপিএলের প্রথম আসর থেকে খেলে চলা অশ্বিন এখন পর্যন্ত ম্যাচে ৪ ওভার বল করে একটিও বাউন্ডারি হজম করেননি ১৫ বার। যে রেকর্ডে ভাগীদার ছিলেন নারাইন। গতকাল চিপকে অশ্বিনের দলের কোনো ব্যাটসম্যান নারাইনকে একটি বাউন্ডারিও মারতে না পারায় রেকর্ডটি এখন শুধুই তাঁর—আইপিএল ১৬ বার বাউন্ডারিশূন্য ৪ ওভারের বোলিং।

নতুন দুটি রেকর্ড গড়া নারাইন এখন স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পথে। টি–টোয়েন্টিতে একটি দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ডটা এখন সামিত প্যাটেলের, যিনি নটিংহামশায়ারের হয়ে নিয়েছেন ২০৮ উইকেট। ১৩ বছর ধরে কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা নারাইনের উইকেট ২০৩টি।

দরকার মাত্র ৬ উইকেট। নারাইন যা করে ফেলতে পারেন এ মৌসুমেই।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ইন র র কর ড উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সচিবালয়ে আবারও বিক্ষোভ কর্মচারীদের

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার একদিন পর আজ সোমবার আবারও সচিবালয়ের ভেতর বিক্ষোভ করছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। বিক্ষোভ শেষে আজ সরকারের আরও তিন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, কর্মচারীরা মিছিল করে সচিবালয়ের বাদামতলায় জমায়েত হন। সেখানে তারা অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিজে জড়ো হয়ে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানান। তাঁদের স্লোগান ছিল ' অবৈধ কালো আইন মানি না' ইত্যাদি।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে ধরে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলন চলার মধ্যেই অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। এর পর থেকে বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।

ঈদের ছুটি শুরু আগে কর্মচারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ,আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, খাদ্য, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।

তারই ধারাবাহিকতায় আজ স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ