মৌসুমে সব কিছু হারিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির চোখ এখন আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। সেজন্য লিগ টেবিলে সেরা চারে থাকা লক্ষ্য তাদের। যদিও পাঁচে থাকলেও চলবে। ওই লক্ষ্যে নেমে লিগের ৩২তম রাউন্ডে ঘরের মাঠে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সিটিজেনরা। 

লিগ টেবিলে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে ঢুকেছে পেপ গার্দিওলার দল। অবশ্য সমান ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থাকা চেলসির চেয়ে এক ও ছয়ে থাকা নিউক্যাসলের চেয়ে দুই ম্যাচ বেশি খেলেছে ম্যানসিটি।

ঘরের মাঠ ইতিহাদে শুরুতে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যানসিটি। ম্যাচের ৮ মিনিটে এজে ও ২১ মিনিটে রিচার্ড ক্রিস্টাল প্যালেসকে এগিয়ে নেন। এরপর মরণ কামড় দিয়েছে গার্দিওলার দল। ৩৩ মিনিটে সরাসরি ফ্রি কিকে গোল করেন ডি ব্রুইনি। ৩৬ মিনিটে ইলকে গুন্ডোয়ানের পাসে গোল করে দলকে সমতায় ফেরেন নতুন মিশরীয় রাজা ওমর মারমুশ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লিড নেয় ম্যানসিটি। ৪৭ মিনিটে দলকে ৩-২ গোলে এগিয়ে নেন মাতেও কোভাসিচ। এরপর ৫৬ মিনিটে সিটিজেনদের পক্ষে চতুর্থ গোল করেন ম্যাকএটি। তার গোলে সহায়তা দেন দলটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসন। প্রিমিয়ার লিগে গোলরক্ষক হিসেবে সপ্তম অ্যাসিস্ট নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। শেষ গোলটি আসে ৭৯ মিনিটে ও’রেলির পা থেকে। 

এ নিয়ে চলতি মৌসুমে ম্যানসিটি ৩২ ম্যাচে ১৬টিতে জয় পেয়েছে। হেরেছে ৯টি। বাকি ৭ ম্যাচে ড্র করেছে তারা। ম্যানসিটি তিনে থাকা নটিংহাম ফরেস্ট, পাঁচে থাকা চেলসি, ছয়ে থাকা নিউক্যাসল ও সাতে থাকা অ্যাস্টন ভিলার চেয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে আছে। যেটা পেপ গার্দিওলার দলের জন্য প্লাস পয়েন্ট। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের

প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও টানা ছয়টি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।

বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তুলে নেন সেঞ্চুরি, এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। মিরাজ ছাড়াও ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচে বড় অবদান রাখেন তাইজুল ইসলাম, আর ওপেনার সাদমান ইসলামও তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।

প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২২৭ রান। জবাবে টাইগাররা তোলে ৪৪৪ রান, পায় ২১৭ রানের লিড। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট জয়ের উৎসবে মাতে স্বাগতিকরা।

বল হাতে টাইগারদের শুরুটা এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ করিয়ে। একই ওভারে এলবিডব্লিউ করেন নিক ওয়েলচকে, রিভিউ নিয়ে পান উইকেটটি। এরপর উইলিয়ামসকেও বিদায় করেন অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম, দ্বিতীয় স্লিপে সাদমানের হাতেই ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।

চতুর্থ উইকেটে আরভিন-কারেন জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, মিরাজ এসে ভেঙে দেন সেই জুটি। এক ওভারেই ফেরান আরভিন ও মাদেভারেকে। এরপর তাফাদওয়া সিগা, মাসাকাদজা ও কারেনকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মিরাজ। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি, সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পাশে নাম লেখান। 

শেষ দিকে আবার বল হাতে ফিরে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান তাইজুল। এরপর রানআউটের মাধ্যমে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এই জয়ে শুধু সিরিজে সমতায়ই ফিরেনি বাংলাদেশ, বরং দেশের মাটিতে দীর্ঘ দিনের টেস্ট জয়ের অপেক্ষাও ঘুচিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পেলে রোববার দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া
  • ‘বাচ্চাটি যাবে না, ম্যাডাম’: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৯ মাসের সন্তানের সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ
  • প্রযোজক তার সঙ্গে রাত কাটাতে বলেন: অঞ্জনা
  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের