সোনারগাঁয়ে মহাসড়কে শ্রমিক বিক্ষোভ, ৫ কিলোমিটার যানজট
Published: 13th, April 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও বৈশাখের ছুটির দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছে চৈত্রি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার (১৩ এপ্রিল) ওই এলাকার চৈতি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক (চৈতি গ্রুপ) নামক একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বৈশাখের ছুটি না দেওয়া ও বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনের বিক্ষোভ করেন। এতে যানজটের আটক ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী এবং চালকরা।
আকলিমা নামের এক শ্রমিক জানান, প্রতিমাসের ৭ তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তা কোনো মাসেই দেওয়া হয়না। এবং আগামীকালের বৈশাখের ছুটিও দেয়নি এজন্যই আমরা বিক্ষোভে নেমেছি।
আশরাফুল আলম নামের আরেকজন বলে, আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে চৈতি কারখানার এডমিন (জিএম) মিজানুর রহমান জানান, শ্রমিকদের দাবি বলতে আমরা পূর্বের সব বেতন দিয়ে দিয়েছি।
আমরা তাদের বলেছিলাম এ মাসের বেতনটা ১৫ তারিখ দিবো, কিন্তু তারা না মেনে নেমেছিল। এবং দাবি মেনে নেওয়ার হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা নেমেছিল এখন সমাধান হয়েছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ জানান, চৈতি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বিক্ষোভ নামায় এই যানজট লেগেছিল।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র
গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।
গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানেরইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।
ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।
ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।