রাঙামাটিতে নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে সাংগ্রাই জলোৎসব। পুরনো বছরের সকল দুঃখ-বেদনাকে ভুলে গিয়ে একে অন্যের প্রতি পানি ছিটিয়ে শুদ্ধ করে নিলেন মারমা তরুণ-তরুণীরা। 

পাহাড়ে বৈসাবির অন্যতম আকর্ষণ এই জলকেলি। বলা হয়, পুরনো বছরের সব দুঃখ-গ্লানি ধুয়ে-মুছে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার অন্যতম মাধ্যম এই মৈত্রী বর্ষণ।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মারমা সংস্কৃতি সংস্থার (মাসস) কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী এই জলকেলি বা জলোৎসব হয়।

সাংগ্রাই উদযাপন কমিটির সভাপতি মংসুইপ্রু মারমার সভাপতিত্বে জলোৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনীর কাপ্তাই জোনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম মাহমুদুল হাসান সোহাগ। বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর ফয়েজ আহমেদ, রাজস্থলী সাব-জোন কমান্ডার মেজর হাসিব ইমাম, ক্যাপ্টেন আহসানুল হক কবিরসহ অন্য কর্মকর্তারা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংগ্রাই উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আদুমং মারমা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা জলোৎসব উপভোগ করেন।

আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা ঘণ্টা বাজিয়ে জলকেলি উদ্বোধন করেন। এরপর সকলে একে-অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে সকল অবসাদ দূর করে দেন। দুঃখ-বেদনা ভুলে নতুন বছরে যাতে সবার জীবন সুন্দর হয়, এ কমানায় জলোৎসবে মেতে উঠে মারমা তরুণ-তরুণীরা। এ সময় মারমা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী গান ও নাচ পরিবেশন করা হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কয়েক হাজার মারমা নারী-পুরুষ একে-অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে উৎসব পালন করেন।

আগামী ১৯ এপ্রিল রাঙামাটির চিং হ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে জলকেলির মাধ্যমে শেষ হবে এবারের বৈসাবি উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

ঢাকা/শংকর/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জলক ল

এছাড়াও পড়ুন:

দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দুদিনের সফরে বুধবার কলকাতায় পৌঁছেছেন। বিকেলে তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পরে নদীয়া জেলার কল্যাণীতে অবস্থিত অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এইমস) প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেন। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা জানান এইমসের পরিচালক রামজি সিং। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন।

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি যান দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে। সেখানে কালীমন্দিরে পূজা অর্চনা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কন্যা ইতিশ্রী মুর্মু।

দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রামকৃষ্ণদেবের বংশধর কৌশিক চক্রবর্তী রাষ্ট্রপতির হাতে মন্দিরে নিবেদিত পদ্মফুল ও প্রসাদ তুলে দেন। পরে রাষ্ট্রপতি রামকৃষ্ণদেবের বসতঘর পরিদর্শন করে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা হন।

বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ঝাড়খন্ড রাজ্যের দেওঘরে যাবেন। সেখানে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস), দেওঘরের প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেবেন। এ প্রতিষ্ঠানেও এই প্রথমবার সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইয়ের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব
  • ১৬ কোটি টাকায় সারা দেশে ফুটবলের তিন টুর্নামেন্ট
  • দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
  • ভৌতিক গল্প নিয়ে কানাডায় নুহাশ
  • তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
  • সিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা
  • ‘মুক্তির উৎসব’ করতে সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাবেক সমন্বয়কের আবেদন
  • এবার পরিবার নিয়ে ঘরে বসেই ‘উৎসব’