১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম থেকেই যাত্রা শুরু হয়েছিল ব্যান্ডদল সোলসের। দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল ৫০ বছর। অর্ধশত বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২৩ সাল থেকে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করছে ব্যান্ড দলটি। এরই অংশ হিসেবে ‘মাস্টাররকার্ড প্রেজেন্টস সোলস আনপ্লাগড: ৫০ ইয়ার্স অব টাইমলেস মিউজিক’ কনসার্ট করতে যাচ্ছে সোলস। আগামী ২ মে চট্টগ্রাম শহরের পাঁচ তারকা হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ-তে অনুষ্ঠিত হবে কনসার্টটি।

আজ বুধবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছে সোলস। এ সময় সোলস ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘আগামী ২ মে’র কনসার্ট হবে ঐতিহাসিক। সেদিনের রাতটি হবে সংগীত, স্মৃতি আর আবেগে ভরা এক হৃদয়-ছোঁয়া অভিজ্ঞতার রাত।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাস্টারকার্ড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, এমঅ্যান্ডএম বিজনেস কমিউনিকেশন্সের সিইও মনজুমা মুর্শেদ, র‌্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর সিইও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সালেহ মোহাম্মদ আলী, মীর মাসুম (কিবোর্ড) এবং মার্নফ হাসান রিয়েল (বেজ গিটার)।

সোলস ব্যান্ডের সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশের রক সংগীতের অগ্রদূত হিসেবে সোলস কেবল দেশের সংগীত-ধারাকে একটি রূপ দিয়েছে-তা নয়, বরং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই ব্যান্ড সংগীতপ্রেমীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। ক্লাসিক গান থেকে শুরু করে আধুনিক মাস্টারপিস-তাদের সংগীত আজও কোটি হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে। ভক্তদের জন্য এক বিরল ও মন জুড়ানো সংগীত অভিজ্ঞতা নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছে ‘সোলস আনপ্লাগড’ যেখানে তারা উপভোগ করবেন ব্যান্ডটির জনপ্রিয় গানগুলোর সরল, পরিবেশনা। এটি শুধু একটি কনসার্ট নয়; এটি একটি অনুভূতির যাত্রা, যা শুরু হয়েছিল ৫০ বছর আগে এবং যার ধ্বনি এখনো অনুরণিত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদীর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, ডেইলি স্টারের চিফ বিজনেস অফিসার তাজদীন হাসান, ফিট এলিগ্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদা শারমিন, মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ফায়েজ আহমেদ, সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের সিইও রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স লস প র থ বড় য় কনস র ট

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ