সাইট ভিজিট করার ক্ষেত্রে সাধারণত সন্দেহ থাকলে তা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। তা না হলে ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে। কারণ, বহু ধরনের জাল ওয়েবসাইট এখন ২৪ ঘণ্টাই ম্যালওয়্যার যুক্ত থাকে। ম্যালওয়্যার হলো এক ধরনের বিশেষ দক্ষতার ভাইরাস। ছদ্মবেশী সাইট ভিজিট করার পর যে কোনো লিঙ্কে ক্লিক করলে স্মার্টফোনে ভাইরাস প্রবেশের আশঙ্কা বহুলাংশে বেড়ে যায়।
অ্যাপ ইনস্টল
অ্যাপ ইনস্টলে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল প্লে স্টোর আর অ্যাপল আইফোনে অ্যাপ স্টোর আছে। দুটি অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্ম ছাড়া অ্যাপ ইনস্টলে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, ক্ষতিকারক কোনো অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে রাখার অনুমোদন দেবে না। যদি আনঅফিশিয়াল অ্যাপ ব্যবহার খুব জরুরি হয়, তাহলে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এপিকে ফাইলের সহায়তায় অ্যাপ ইনস্টল করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াইফাই
ভ্রমণে বা তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে যত্রতত্র ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগ নিতে হয়। হোটেল বা রেস্তোরাঁয় গিয়ে বিনামূল্যে ওয়াইফাই ইন্টারনেটে যুক্ত হতে সতর্ক হতে হবে।
কারণ, নেটওয়ার্ককে টার্গেট করেও স্মার্টফোনে ভাইরাস ছড়ানোর বহু নজির বিদ্যমান। বিশেষ চক্র এখন ব্লুটুথ আর ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অসতর্ক গ্রাহকের ডিভাইসের সুরক্ষা ভেদ করে অনুপ্রবেশ করে। আর কিছু না হলেও ছবির গ্যালারিতে দ্রুত প্রবেশাধিকার নিয়ে নেয়। তাই সতর্ক থাকতে হবে সব সময়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশে জোর সেনাপ্রধানের
কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে জাতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, এই নেতৃত্বই দেশকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে তিন সপ্তাহব্যাপী স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ প্রশিক্ষণ ক্যাপস্টোন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সেনাপ্রধান ক্যাপস্টোন ফেলোদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
এই কোর্সে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সিনিয়র চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সর্বমোট ৪৫ জন ফেলো অংশগ্রহণ করেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতি গঠনের সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি দেশের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য গতিশীল ও সংস্কারমুখী নেতৃত্বের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোকপাত করে সেনাপ্রধান বলেন, বিদ্যমান পরিবর্তনশীল ভূরাজনীতি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও নতুন জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্যাপস্টোন কোর্স কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি, সহযোগিতা ও জ্ঞানভিত্তিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এনডিসি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক বলেন, ‘ক্যাপস্টোন কোর্স জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বস্তুনিষ্ঠ সংলাপ ও একীভূত চিন্তাধারার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। এতে অংশগ্রহণকারীদের সক্রিয়, চিন্তাশীল ও সশ্রদ্ধ অংশগ্রহণ তাদের কৌশলগত ও মননশীল চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটিয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্থার নেতৃবৃন্দের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের মেলবন্ধন তৈরি করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।’
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্যাপস্টোন কোর্স ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ পরিচালিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কোর্স। এই কোর্সের লক্ষ্য কৌশলগত সচেতনতা বৃদ্ধি, সূক্ষ্ম চিন্তাভাবনার বিকাশ, আন্তসংস্থার সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার নেতৃত্ব পর্যায়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নবিষয়ক সমন্বিত ধারণা গড়ে তোলা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, এনডিসির ফ্যাকাল্টি ও স্টাফ অফিসার এবং জাতীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।