গাজীপুরে ত্রেখাইল্লা খালের মুখ ভরাট, জলাবদ্ধতার শঙ্কায় কৃষকরা
Published: 17th, April 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ত্রেখাইল্লা খালের উৎসমুখ ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ফলে, একসময়ের প্রবহমান খালটি এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, বর্ষায় জলাবদ্ধতা বাড়বে। এতে কৃষিকাজ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ভূমি অফিস সূত্র জানিয়েছে, খালের উৎসমুখ ত্রেখাইল্লা এলাকায় অবস্থিত এবং এটি সরকারি খাল হিসেবে নথিভুক্ত। তবে, সিলমুন পাইপ অ্যান্ড ফিটিংস নামের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বছর কয়েক আগে খালের গতিপথ পরিবর্তন করে ও মাটি-বালু ফেলে জায়গাটি দখলে নেয়।
নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মফিজ উদ্দিন বলেছেন, “একসময় এই খাল দিয়ে মাঠে পানি যেত, সেচ কাজ হতো। এখন পুরোটা বন্ধ। প্রতিবাদ করলেই হয়রানি করা হয়।”
স্থানীয় বাসিন্দা আরফান আলী বলেন, “খালটি আমাদের চোখের সামনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না।”
শ্রীপুর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহাব বলেন, “খাল দখল ও গতিপথ পরিবর্তনের বিষয়টি আমরা সরেজমিনে নিশ্চিত হয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মনির হোসেন বলেন, “আইন অনুযায়ী কেউ সরকারি খাল দখল করতে পারে না। অবৈধ দখলকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
তবে, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, তারা দখলের সঙ্গে জড়িত নন।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, “খাল দখল ও গতিপথ পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের দাবি, খালটি দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরিয়ে না আনা হলে সামনের বর্ষায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা/রফিক সরকার/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চারঘাটে পদ্মা নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পদ্মা নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের পাশাপাশি সরকারি জমি থেকে মাটি বিক্রির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে উপজেলার বড়াল নদের উৎসমুখসংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযানস্থলে মাদক সেবনের দায়ে দুই ব্যক্তিকে ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁরা হলেন চারঘাট পৌর এলাকার মিয়াপুর মহল্লায় সোহেল রানা (৪৮) ও কাটাখালী পৌর এলাকার কাপাসিয়া মহল্লার মিজু (২৮)।
অভিযানে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অংশ নেন। চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, তাঁরা অভিযান চালিয়ে পদ্মার পাড় থেকে মাটি কাটার জন্য তৈরি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন। এ ছাড়া সেখানে দুই ব্যক্তিকে মাদকাসক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, অনেক দিন থেকেই উপজেলা বড়াল নদের উৎসমুখে পদ্মা নদীর পাড় থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছিল। সেখানে বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে। কয়েক দিন আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সর্বশেষ পদ্মাতীরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিয়ে অবৈধ মাটি বিক্রেতা ও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছিল।