কক্সবাজার শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ন। ঘন সবুজে ঘেরা চারপাশ। ছোট ছোট টিলার ওপর বাড়িঘর। লালমাটির উঁচু-নিচু পথ পেরিয়ে পৌঁছাতে হয় ঘরগুলোতে। বন বিভাগের জমি লিজ নিয়ে এ অঞ্চলের অধিবাসীরা বংশপরম্পরায় বসবাস করে আসছেন।

ইউনিয়নটির উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা কুলসুমা খাতুন (৪২)। ৫ বছর আগে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তিনি বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন দুই সন্তান নিয়ে। অর্ধাহারে-অনাহারে যখন দিন কাটছিল, তখন বাবা বলেছিলেন, কুলসুমা যেন সন্তান দুটিকে তাঁর সাবেক স্বামীর কাছে দিয়ে আসেন।

অভিমান নিয়ে দিনমজুর হিসেবে অনিয়মিতভাবে জমিতে কাজ শুরু করেন কুলসুমা। দেড় বছর আগে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতা পান তিনি। এখন তিনি নিজেই কৃষক হিসেবে আয় করছেন। তাঁর মেয়ে জোবাইদা আক্তার উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে। ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

কুলসুমা খাতুন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক লস ম

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ