নেটফ্লিক্সের এই সিরিজে নতুন কী আছে
Published: 18th, April 2025 GMT
প্রযুক্তির ছায়া যখন আমাদের জীবন গ্রাস করছে, তখন সিজন-৭–এ নতুন ঝলক নিয়ে ফিরে এসেছে ‘ব্ল্যাক মিরর’। আগের সিজনগুলোর তুলনায় এবারের গল্পগুলো যতটা প্রযুক্তিনির্ভর, ততটাই মানবিক। এই ভারসাম্য রাখতে গিয়ে সিরিজটির স্রষ্টা চার্লি ব্রুকার ছয়টি এপিসোড যেভাবে সাজিয়েছেন, সেগুলোর মধ্যে দুটির গল্প অনেকটা ‘মাথার ওপর দিয়ে যাওয়ার’ মতো মনে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে সিজন-৪-এ জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘ইউএসএস ক্যালিস্টার: ইনটু ইনফিনিটি’র সিকুয়েল। বাকি চার পর্বের গল্প, শেষে কী হয়, তা দেখার কৌতূহল তৈরিতে উল্লেখযোগ্যভাবে সফল।
নতুন মৌসুমের শুরুতেই একটি সুখী জীবনের ‘ডিস্টোফিয়া’ বা অন্ধকার ভবিষ্যৎ দেখায় প্রথম এপিসোড—‘কমন পিপল’। যেখানে ক্রিস ও’ডাউড ও রাশিদা জোন্স অভিনয় করেছেন নিম্নমধ্যবিত্ত দম্পতির ভূমিকায়, যাঁদের ঘরে অর্থের চেয়ে ভালোবাসাটাই বেশি। একসময় রাশিদার মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে, যেটির সমাধান নিয়ে হাজির হয় রিভারমাইন্ড নামের একটি প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান। রাশিদার মস্তিষ্ক, স্মৃতিকে একটি ক্লাউড সার্ভারে স্থানান্তর করা হয়, যেটি মাসিক সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে চলে।
‘ব্ল্যাক মিরর: সিজন-৭’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?