মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় রডবাহী ট্রাক উল্টে দীর্ঘ যানজট
Published: 18th, April 2025 GMT
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় রডবাহী ট্রাক উল্টে প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোর থেকে মহাসড়কের জামালদী থেকে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার আনুমানিক ভোর ৪টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের মেঘনা ব্রিজের ঢালে জামালদী এলাকায় একটি রডবাহী ট্রাক উল্টে যায়। ট্রাকটি সড়ক থেকে সরাতে সময় লাগায় সড়কে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে রডবাহী ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে যানবাহনের চাপ ও সড়কের উল্টো পথে যানবাহন চলায় সড়কে গতি কমে যায়।
কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের বাসচালক বিল্লাল হোসেন জানান, ভোর ৫ টার দিকে কুমিল্লা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় তিনি। কিন্তু আলীপুরা এলাকায় এসে তিনি যানজটে আটকা পড়েন।
ইমরান হোসেন নামে এক বাসের যাত্রী বলেন, “আমি দরি বাউশিয়া থেকে সকাল ৬ টায় বাসে উঠেছি। দুই ঘণ্টা হলো বাস একই জায়গায় আছে। ৩৫ কিলোমিটার মহাসড়ক ৩৫ মিনিটে অতিক্রম করার কথা ছিল। কিন্তু যানজটে আটকে পড়ে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে।”
ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শওকত হোসেন জানান, একটি রডবাহী ট্রাক সড়কে উল্টে পড়ে। এতে ট্রাকে থাকা রডগুলো সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। ফলে কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ ছিল ঢাকগামী লেনে। যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে।
ঢাকা/রতন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক র য নজট রডব হ
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।