‘দোকান ভর্তি মালামাল ছিল। কিছুই বের করতে পারিনি। ব্যাংকের ঋণ, ধারদেনা কীভাবে পরিশোধ করব, কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব, কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার আর কিছু রইল না, সব শেষ‌ হয়ে গেছে।’

কথাগুলো নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া বাজারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী শহীদ উল্লাহর। ক্ষয়ক্ষতির কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এই ব্যবসায়ী।

গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাজারের সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকার একটি করাত কল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে ৯টি দোকান পুড়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হলো ওলামা ট্রেডার্স, ইসমাইল স্টোর, মা স্টোর, বিসমিল্লাহ স্টোর, কনফেকশনারি অ্যান্ড বেকারি, লিটন জেনারেল স্টোর, হারুন ক্রোকারিজ, হুমায়ুন কবিরের করাত কল ও কাজল স্টোর। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ৫০ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে তার প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। অন্যদিকে হারুন ক্রোকারিজের মালিক মিজানুর রহমান জানান, তার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় আট লাখ টাকা।

জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী ফায়ার স্টেশনের লিডার শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, একটি করাতকল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে ৯টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে জানা যাবে।

.