দিনাজপুরের হিলি বাজারে সব ধরনের সবজির দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রসুনের দামও। রাতারাতি ৫০ টাকা বেড়ে এখন রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। সিন্ডিকেটের ব্যবসায়ীরা অবৈধ মজুদ করায় দাম দ্রুত বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজের পাশাপাশি রসুনের মূল্যবৃদ্ধিতে হতাশ ক্রেতারা। 

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে হিলি সবজি বাজার ঘুরে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে রসুনের দাম ছিল ৭০ টাকা। আজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি হিসেবে। 

উৎপাদন এবং আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও মোকামগুলোতে রসুনের দাম বেড়েই চলেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এখন রসুন মজুদে ব্যস্ত। অবৈধ মজুদের কারণে হচ্ছে কৃত্রিম সংকট। এর প্রভাবে দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। 

হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা আব্দুল খালেক এ প্রতিবেদককে বলেছেন, বর্তমানে অস্থির সবজির বাজার। প্রতিটি সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। কয়েকদিন আগে ৭০ টাকা কেজি দরে রসুন কিনেছিলাম। আজ তা ১২০ টাকা কেজি দরে কিনলাম।  

খুচরা ক্রেতা ফরিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ সব ধরনের সবজির দাম বাড়ছে। প্রশাসনকে বাজার মনিটরিং করতে হবে। তা না করলে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না।

হিলি বাজারে পাইকারি রসুন বিক্রেতা ফেরদৌস রহমান বলেছেন, পাবনা, ফরিদপুর ও নাটোর থেকে আমরা পেঁয়াজ ও রসুন আনি। বড় ব্যবসায়ীরা রসুন মজুদ করছেন। এ কারণে আমাদের বেশি দাম রসুন কিনতে হচ্ছে। তাই, বেশি দামে বিক্রি করছি। 

ঢাকা/মোসলেম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রস ন র দ ম ব যবস য় র সবজ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ