১. কিছু বলার থাকলেও চুপ থাকা

আপনি হয়তো বন্ধুদের আড্ডা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো মিটিংয়ে আছেন। কেউ একজন এমন কিছু বলল, যার সঙ্গে আপনি একমত নন। বিপরীতে একটি দুর্দান্ত বক্তব্য আপনার আছে। চলমান কথোপকথনে তা হয়তো মূল্য যোগ করতে পারে। কিন্তু স্বভাবসুলভ সংকোচে আপনি তা প্রকাশ করলেন না। আপনার মনে দ্বিধা আর সংশয়। ভাবছেন, কথাটা কি আসলেই প্রকাশযোগ্য! অন্যরা আবার বোকা মনে করবে না তো! না, এটি একদম করবেন না। এ বিষয়টি আপনার আত্মবিশ্বাসকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাই পরেরবার যখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে, নিজের বক্তব্যটি নিঃসংকোচে বলবেন। তা হোক অতি সাধারণ কোনো কথা, গুরুত্বহীন কিংবা কম গুরুত্বপূর্ণ।

২.

কেউ আপনার কথা থামিয়ে দিলে কিছু না বলা

আপনি কথা বলছেন। কেউ হয়তো আপনার কথা থামিয়ে তার কথা শুরু করল। সোজা বাংলায় আমরা যাকে বলি, কথার মাঝে বাঁ হাত ঢুকিয়ে দেওয়া। এমতাবস্থায় আপনি ভদ্রতাবশত হয়তো কিছু বলেন না। এটি ঠিক নয়। কেউ যদি থামিয়ে দেয় এবং আপনিও বিনা আপত্তিতে চুপ হয়ে যান, তাহলে আপনার মস্তিষ্কে একটি ভুল বার্তা পৌঁছায়। মস্তিষ্ক মনে করে, আপনার কথাটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আশপাশের লোকজনের কাছেও এমনটি মনে হয়। অর্থাৎ আপনি নিজেই নিজেকে গুরুত্বহীন করে তুলছেন। ফলে কেউ যদি আপনাকে কথার মাঝখানে থামিয়ে দেয়, সহজ ও শান্তভাবে তাকে বলুন—দাঁড়ান, আমার কথা এখনো শেষ হয়নি।

কারও কথায় আহত হলে, সোজাসুজি তাকে বলুন

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ