এই ৬টি সাধারণ অভ্যাস নীরবে আপনার আত্মবিশ্বাস ধ্বংস করছে
Published: 19th, April 2025 GMT
১. কিছু বলার থাকলেও চুপ থাকা
আপনি হয়তো বন্ধুদের আড্ডা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো মিটিংয়ে আছেন। কেউ একজন এমন কিছু বলল, যার সঙ্গে আপনি একমত নন। বিপরীতে একটি দুর্দান্ত বক্তব্য আপনার আছে। চলমান কথোপকথনে তা হয়তো মূল্য যোগ করতে পারে। কিন্তু স্বভাবসুলভ সংকোচে আপনি তা প্রকাশ করলেন না। আপনার মনে দ্বিধা আর সংশয়। ভাবছেন, কথাটা কি আসলেই প্রকাশযোগ্য! অন্যরা আবার বোকা মনে করবে না তো! না, এটি একদম করবেন না। এ বিষয়টি আপনার আত্মবিশ্বাসকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাই পরেরবার যখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে, নিজের বক্তব্যটি নিঃসংকোচে বলবেন। তা হোক অতি সাধারণ কোনো কথা, গুরুত্বহীন কিংবা কম গুরুত্বপূর্ণ।
২.কেউ আপনার কথা থামিয়ে দিলে কিছু না বলা
আপনি কথা বলছেন। কেউ হয়তো আপনার কথা থামিয়ে তার কথা শুরু করল। সোজা বাংলায় আমরা যাকে বলি, কথার মাঝে বাঁ হাত ঢুকিয়ে দেওয়া। এমতাবস্থায় আপনি ভদ্রতাবশত হয়তো কিছু বলেন না। এটি ঠিক নয়। কেউ যদি থামিয়ে দেয় এবং আপনিও বিনা আপত্তিতে চুপ হয়ে যান, তাহলে আপনার মস্তিষ্কে একটি ভুল বার্তা পৌঁছায়। মস্তিষ্ক মনে করে, আপনার কথাটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আশপাশের লোকজনের কাছেও এমনটি মনে হয়। অর্থাৎ আপনি নিজেই নিজেকে গুরুত্বহীন করে তুলছেন। ফলে কেউ যদি আপনাকে কথার মাঝখানে থামিয়ে দেয়, সহজ ও শান্তভাবে তাকে বলুন—দাঁড়ান, আমার কথা এখনো শেষ হয়নি।
কারও কথায় আহত হলে, সোজাসুজি তাকে বলুনউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপির উদ্বেগ আদালত অবমাননার শামিল: ইশরাক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদ নিয়ে ইশরাক হোসেনের মামলা, রায় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তৎপরতা নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়টিকে আদালত অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, এনসিপি আইনের ব্যাখ্যা এবং আইন সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। একই সঙ্গে বিজ্ঞ আদালতের আদেশকে অবমাননা করেছে।
বুধবার রাতে এক প্রতিবাদলিপিতে ইশরাক হোসেনের পক্ষে তাঁর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম এ কথা বলেছেন। এর আগে গতকাল বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছিল এনসিপি।
দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হওয়া নিয়ে এনসিপির উদ্বেগের বিষয়টি উল্লেখ করে ইশরাক হোসেনের পক্ষে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে তাঁর আইনজীবী বলেন, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির কারণ নিয়ে এনসিপির বক্তব্য একেবারেই শিশুসুলভ। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যেকোনো মামলায় দ্রুত নিষ্পত্তির বিজ্ঞ আদালতের একটি সহজাত ক্ষমতা। তা ছাড়া ২০২০ সালে দায়ের করা মামলাটি ২০২৫ সালে নিষ্পত্তি হয়েছে। এটি দীর্ঘ পাঁচ বছরের অধিক সময় অতিক্রান্ত হয়েছে, যা মোটেও সংক্ষিপ্ত সময় নয়; বরং মোকদ্দমাটি আরও আগেই নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন ছিল।
নির্বাচনী মামলার নিষ্পত্তি সংক্ষিপ্ত সময়ে হওয়া উচিত উল্লেখ করে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, এনসিপির এ জাতীয় বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত যে বক্তব্য দিয়েছে, তার সম্পূর্ণ আইনি অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। মামলার তদবিরকারক বাদীর ইচ্ছা অনুযায়ী যে কেউ হতে পারে বিধায় বিজ্ঞ আদালত হলফনামা গ্রহণ করেছেন, যা সম্পূর্ণ আইন মেনেই করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালত কোনো প্রকার বিচার-বিশ্লেষণ করেননি বলে যে বক্তব্য এনসিপি দিয়েছে, তা এককথায় তাদের জ্ঞানের স্বল্পতারই বহিঃপ্রকাশ এবং আদালত অবমাননার শামিল।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘আদালত যথাযথ আইন মেনেই রায় প্রদান করেন। এ ক্ষেত্রে কেউ যদি ন্যায়বিচার হয়নি বলে মনে করে, তাহলে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ আছে এবং তার বক্তব্য ওই উচ্চ আদালতে রাখারও সুযোগ আছে। এভাবে প্রেসনোট দিয়ে বক্তব্য প্রদান দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা ও বিজ্ঞ আদালতকে অবমাননা ছাড়া কিছুই নয়।’
২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফল বাতিল করে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতার ইশরাক হোসেনকে গত ২৭ মার্চ মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। এর এক মাস পর আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেট প্রকাশের পর এটি বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই মন্ত্রণালয় থেকে শপথ গ্রহণের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা। তবে কবে নাগাদ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে, সে বিষয়টি নিয়ে এখন ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
নির্বাচনের হিসাব অনুযায়ী আগামী ১৫ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।