Prothomalo:
2025-11-03@03:20:54 GMT

নবাবের দরবারে কপিলা...

Published: 19th, April 2025 GMT

কপিলা। মানে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’র সেই কপিলা। যিনি কুবের মাঝির সঙ্গে পালিয়ে ময়না দ্বীপে গিয়েছিলেন। সমাজে তিনি কুলটা। সেই কপিলাকে এই যাত্রাপালার অনিবার্যও একটি চরিত্র হিসেবে তুলে আনা হয়েছে। কপিলা ময়না দ্বীপ থেকে কোনো নবাবের দেশে ব্যবসায়ী হয়ে যায়। তার পণ্য নিয়ে একাকী এই নারী নবাবের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হয়। এই প্রেক্ষাপটে রচিত যাত্রাপালা ‘নবাবের দরবারে কপিলা’।

নাটোরের চলন নাটুয়া প্রযোজিত পালাটি গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পরীগাছা গ্রামের বৈশাখী মেলায় মঞ্চস্থ হয়েছে। পালাটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন ফারুক হোসেন। যাঁরা সেদিনের পালাটি দেখেননি, তাঁদের জন্য রইল বর্ণনা। আমরা যা দেখেছি, তা–ই বলছি।
পালার শুরুতে নেপথ্যে কথকের গলা শোনা যায়—‘আপনাদের জানা, সংক্ষেপে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি কেবল। মানিক বাবুর “পদ্মা নদীর মাঝি” উপন্যাসের কপিলা কুবের মাঝির শ্যালিকা। আপনারা জানেন, কুবের মাঝির একদিকে পঙ্গু স্ত্রী আর অন্যদিকে শ্যালিকা। এ দুয়ের সঙ্গে যুক্ত হয় কুবের-কপিলাদের প্রেমের মানসিকতা। অথবা কপিলা-কুবের যাতে মিলিত হয়, তার প্রেক্ষাপট তৈরি করে দেওয়ার সূক্ষ্ম কারিগর হোসেন মিয়ার কূটকৌশল কিংবা নিয়তি বলতে পারেন, সবই নির্ধারিত, কপিলাকে নিয়ে কুবেরের পালানো ভিন্ন পথ খোলা ছিল না। দর্শকশ্রোতা, হোসেন মিয়ার নতুন রাজ্য ময়না দ্বীপের কথা নিশ্চয় মনে আছে, নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে সে দেশে। কথা শেষ হতেই মঞ্চে আসেন কপিলা ও কুবের।

দর্শকের ভিড়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ