রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীর ৫১৬ পদের নিয়োগ পরীক্ষা মে মাসে, নম্বর-সিলেবাস প্রকাশ
Published: 20th, April 2025 GMT
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীর ১০ম গ্রেডের ৫১৬টি পদের নিয়োগ পরীক্ষা আবার নেবে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। উপসহকারী প্রকৌশলীর ১১ ক্যাটাগরির ৫১৬টি শূন্য পদের নিয়োগ পরীক্ষা এ বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে। পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি, আসনবিন্যাস, কেন্দ্র এবং অন্যান্য বিস্তারিত নির্দেশাবলি পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
পিএসসি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, গত বছরের ৫ জুলাইয়ের পরীক্ষায় যেসব প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন, শুধু ওই সব প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বাছাই ও লিখিত পরীক্ষা একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। শুধু বাছাই (এমসিকউ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে। ১০০ (এক শত) নম্বরের ১ ঘণ্টার বাছাই পরীক্ষা এবং ১০০ (এক শত) নম্বরের ৩ ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ১১ ক্যাটাগরির পদগুলোকে ৫টি (পাঁচ) ক্লাস্টারে ভাগ করে বাছাই ও লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো—
ক্লাস্টার A: উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ)
ক্লাস্টার B: উপসহকারী প্রকৌশলী (ওয়ে/ওয়ার্কস/এস্টেট)
ক্লাস্টার C: উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল ড্রয়িং/এস্টিমেটর)
ক্লাস্টার D: উপসহকারী প্রকৌশলী (সিগন্যাল/টেলিকমিউনিকেশন)
ক্লাস্টার E: উপসহকারী প্রকৌশলী (স্টোর/মেকানিক্যাল/ট্রেন এক্সামিনার/ড্রয়িং/মেরিন/ব্রিজ)
আরও পড়ুনইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম মুসলিম দেশ-মঙ্গল শোভাযাত্রা-রেডিও বেগম জেনে নিন বিস্তারিত১৭ এপ্রিল ২০২৫লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস—
বাংলা: ২০, ইংরেজি: ২০, সাধারণ জ্ঞান: ২০, টেকনিক্যাল: ৪০—সর্বমোট ১০০ নম্বর।
*বাংলা: সারাংশ ৫, পত্র লিখন ৫, বঙ্গানুবাদ ৫ ও ব্যাকরণ ৫= মোট নম্বর ২০
*ইংরেজি: Letter 5, Comprehension 5, Grammar 10= মোট নম্বর ২০
*সাধারণ জ্ঞান: বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৫, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ৫, কম্পিউটার ও আইটি ১০=মোট নম্বর ২০
*টেকনিক্যাল: তাত্ত্বিক ৩টি প্রশ্ন x ৫= ১৫, ব্যবহারিক ৫টি প্রশ্ন x ৫=২৫=মোট নম্বর ৪০
আরও পড়ুনবেসরকারি ব্যাংকে চাকরি, আবেদন স্নাতকোত্তরে২ ঘণ্টা আগেটেকনিক্যাল বিষয়ে লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস—
*ক্লাস্টার A: উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ): ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়গুলো, যা সংশ্লিষ্ট সনদধারীরা অধ্যয়ন করে থাকেন।
*ক্লাস্টার B: উপসহকারী প্রকৌশলী (ওয়ে/ওয়ার্কস/এস্টেট): সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়সমূহ, যা সংশ্লিষ্ট সনদধারীরা অধ্যয়ন করে থাকেন।
*ক্লাস্টার C: উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল ড্রয়িং/এস্টিমেটর): সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (মূলত Engineering drawing/ Projection–সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হবে)
*ক্লাস্টার D: উপসহকারী প্রকৌশলী (সিগন্যাল/টেলিকমিউনিকেশন): বেসিক টেলিকমিউনিকেশনস এর বিষয়সমূহ, যা সংশ্লিষ্ট সনদধারীরা অধ্যয়ন করে থাকেন।
*ক্লাস্টার E: উপসহকারী প্রকৌশলী (স্টোর/ [মেকানিক্যাল/ট্রেন এক্সামিনার/ড্রয়িং] /মেরিন/ব্রিজ): এইচএসসি পর্যায়ের বিজ্ঞানের কোর্সগুলো (পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন), যা সংশ্লিষ্ট সনদধারীরা অধ্যয়ন করে থাকেন।
আরও পড়ুনচীনের প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপ, প্রথম বছরে ১০ হাজার চায়নিজ ইউয়ান ১০ ঘণ্টা আগেকোনো পরীক্ষার্থী একটি ক্লাস্টারের আওতায় একাধিক পদে আবেদন করলে উক্ত ক্লাস্টারের একটি পরীক্ষাতেই অংশগ্রহণ করবেন; তবে কোনো পরীক্ষার্থী যদি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাস্টারের একাধিক পদে আবেদন করে থাকেন, তবে তাঁকে সংশ্লিষ্ট সব ক্লাস্টারেই পরীক্ষা দিতে হবে।
রেলওয়ের ১০ম গ্রেডের ১১ ক্যাটাগরির ৫১৬টি উপসহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগের জন্য ২০১৯ ও ২০২৩ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মোট ১১ ক্যাটাগরির উপসহকারী প্রকৌশলী পদে ৫১৬ জনকে নিয়োগে দেওয়া হয়েছিল এ বিজ্ঞপ্তি। এরপর গত বছরের ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের পরীক্ষা। সে সময় রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে সরকারি কর্ম কমিশনের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রেলওয়ের এই নিয়োগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিল পিএসসি। সে সময় এই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পাঁচ মাস পরে গত বছরের ২ ডিসেম্বর সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) রেলওয়ের ১০ম গ্রেডের ১১ ক্যাটাগরির ৫১৬টি উপসহকারী প্রকৌশলী পদের এমসিকিউ পরীক্ষা বাতিল করে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল খ ত পর ক ষ র উপসহক র অন ষ ঠ ত গ পর ক ষ পর ক ষ র র লওয় র সরক র বছর র প এসস
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান, নিয়ে গেছে বিভিন্ন নথি
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দলের সদস্যরা। এ সময় তাঁরা ওই কার্যালয় থেকে বর্তমানে বিভিন্ন চলমান প্রকল্প ও গত পাঁচ বছরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নথি নিয়ে গেছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত এই অভিযান চালায় দুদকের দলটি।
অভিযানে ছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মশিউর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। অভিযান শেষে দুদকের উপসহকারী পরিচালক মশিউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্দর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে অভিযান চালান। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরের উন্নয়নকাজ ও বর্তমানে যেসব কাজ চলমান রয়েছে, সেসব কাজের আমরা তথ্য চেয়েছি। এখানে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা দেখতে এখানে এসেছি। এখানে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে, এখানে কাজের ভলিউম বেশি, তাই সেসব কাজের বিষয়ে তথ্য চেয়ে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনে আমরা এই অফিসে আবার আসব।’
বেলা তিনটার দিকে দুদকের দলটি এলজিইডির উপজেলা কার্যালয় ত্যাগ করে। দুদক দলের অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বন্দর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের প্রকৌশলী শামসুর নাহার প্রথম আলোকে বলেন, দুদকের একটি দল তাঁর কার্যালয়ে এসেছিল। তারা বর্তমান চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কী অবস্থা ও গত পাঁচ বছরের যেসব উন্নয়নকাজ হয়েছে, সেসবের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজের তথ্য দেওয়া হয়েছে।