বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় র‌্যাবের অভিযানের সময় মাদক ব্যবসায়ীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় গুলিতে সিয়াম মোল্লা (২২) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অলিউল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার বিকেলে উপজেলার জোড়া ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিয়াম বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বাহেরঘাট এলাকার বাসিন্দা মো.

রিপন মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় সিয়ামের ফুফাতো ভাই রাকিব মোল্লা (২৭) নামে আরও এক যুবক আহত হয়েছেন। তাকে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাকিব মোল্লা একই এলাকার খালেক মোল্লার ছেলে। পুলিশের স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, নিহত ও আহত দুজনই এলাকার পরিচিত মাদক ব্যবসায়ী।

আগৈলঝাড়া থানার ওসি অলিউল ইসলাম রাতে প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার বিকেলে উপজেলার জোড়া ব্রিজ এলাকায় র‌্যাব সদস্যরা মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে অভিযানে যান। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাব সদস্যদের ওপর হামলা চালালে তাঁরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান। এ সময় একজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিকে পার্শ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বরিশাল র‌্যাব-৮–এর উপ–অধিনায়ক মেজর মো. মাহমুদুল আহসানের মুঠোফোনে রাতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

স্থানীয় কয়েক বাসিন্দা বলেন, সোমবার বিকেলে সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দক্ষিণ মোল্লাপাড়া এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালান।

নিহত তরুণের ফুফাতো বোন নাসরিন আক্তার বলেন, ‘খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখি মামাতো ভাই সিয়ামের লাশ পড়ে আছে। আমার আপন ভাই রাকিব গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে ছিল। কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, কিছুই জানি না।’

গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জাকিয়া রহমান মৌরী বলেন, সিয়ামের বুকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন রয়েছে। গুরুতর আহত রাকিবকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বর শ ল র উপজ ল এ সময়

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের