স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট’ ও ‘জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এই দুই প্রকল্পের জন্য পরামর্শক সেবা ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৩৬৮ কোটি ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক ভার্চুয়াল সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড.

সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা যোগ দেন। সরকারি কাজে অর্থ উপদেষ্টা বিদেশে অবস্থান করা তিনি সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় ‘কনসালট্যান্সি সার্ভিস ফর ডিজাইন, সুপারিভিশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ পরামর্শক সেবা ক্রয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ৭টি প্রতিষ্ঠানের কাছে অনুরোধ প্রস্তাব পাঠানো হলে ৭টি প্রতিষ্ঠান কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়।

প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসির নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী  রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ইপটিসা সার্ভিসিওস ডি ইনজেনিরা,এস,এল, স্পেন, অ্যাকোয়া কনসালট্যান্টস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড বাংলাদেশ, ডেভকনসালট্যান্ট লিমিটেড বাংলাদেশ, ডিজাইন, প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্টস লিমিটেডকে নিয়োগের সুপারিশ করা হলে কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৭২ কোটি ৮৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩৩ টাকা।

সভায়, ‘জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা (বিশেষ সংশোধন)’ প্রকল্পের আওতায় প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টাশন সাপোর্ট কনসালট্যান্ট নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাকে অনুমোদন দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় যৌথভাবে নর্থওয়েস্ট হাইড্রলিক কনসালট্যানটস লিমিটেড, মেটামেটা রিসার্চ, রিসোর্স প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিসিটেডকে নিয়োগের সুপারিশ করে দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি। ১৯৬ কোটি ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৪৯ টাকায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়।

প্রকল্পের ডিপিপিতে পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান না থাকায় ডিপিপি সংশোধন করে পরবর্তীতে এ কমিটিতে প্রস্তাব করার জন্য সুপারিশ করা হয়। সেই নির্দেশনা অনুসারে ডিপিপি সংশোধন করা হয়। এ অবস্থায়, প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসির নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী যৌথভাবে ওই দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগের সপারিশ করা হলে কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৯৬ কোটি ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৪৯ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প র প রস ত ব প র শ কর র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে ‘সহযাত্রী’

আজকাল বৈবাহিক সম্পর্ক মানেই যেন তাড়াতাড়ি শুরু, দ্রুত শেষ! ঠিক এই সময়ে নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত নাটক ‘সহযাত্রী’ দেখাচ্ছে ভিন্ন দৃষ্টান্ত। নাটকটি বলছে—দাম্পত্য জীবন মানে দায়িত্ব, বোঝাপড়া আর সহনশীলতা। বিচ্ছেদের নয়, বরং সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অনুপ্রেরণাই এর মূল বার্তা। 

দর্শকরা বলছেন, “সহযাত্রী’ শুধুই একটি গল্প নয়, বরং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক, বোঝাপড়া এবং সহনশীলতার শিক্ষা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। ডিভোর্স নয়, বরং কীভাবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায়— সেই পথ বাতলাচ্ছে এই নাটক।” 

আরো পড়ুন:

ফারুকীর রহস্যঘেরা ওয়েব সিরিজ ‘৮৪০’ ওটিটিতে

‘আমার শরীর দেখিয়ে কিছু প্রমাণ করার দরকার নেই’

গল্পে দেখা যায়, নিজের পছন্দে জয়-অবনী (ফারহান আহমেদ জোভান ও নাজনীন নিহা) বিয়ে করেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন। ঠিক তখনই গল্পে আসে ভিন্ন মোড়— তাদের মামা জানান, বিয়েতে কারো নিমন্ত্রণ করা হয়নি, তাই ডিভোর্স হবে জমকালো আয়োজনে! সেই আয়োজনেই শুরু হয় সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার নতুন যাত্রা। 

চ্যানেল আইতে প্রচারের পর শনিবার দুপুরে সিনেমাওয়ালার ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় নাটকটি। মাত্র দুই দিনেই এটি দুই মিলিয়নের বেশি দর্শক দেখেছেন। প্রায় পাঁচ হাজার দর্শক ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন ভিডিওতে। চাঁদনী সুলতানা নামে একজন লেখেন, “সহযাত্রী’ দেখার পর মনে হলো, ডিভোর্স কোনো সমাধান নয়। একটু বোঝাপড়া, ভালোবাসা আর ধৈর্য সম্পর্ককে সারাজীবন টিকিয়ে রাখতে পারে।” 

উপমা পাল লিখেছেন, “নাটকটা দেখে চোখে জল এসে গেছে। কত সহজে আমরা সম্পর্ক ভেঙে ফেলি, অথচ সামান্য ধৈর্য রাখলেই সম্পর্ক বাঁচানো যায়। এমন গল্প আরো চাই।” তানভীর আহমেদ মন্তব্য করেছেন, “বর্তমানে যে হারে ডিভোর্স বাড়ছে, সেখানে এই নাটক অনেকের সম্পর্ক নতুনভাবে শুরু করার সাহস জোগাবে।” 

সোনিয়া খন্দকার লিখেছেন, “সম্পর্ক বাঁচানোই আসল কাজ। ‘সহযাত্রী’ যেন আমাদের ঘরের আয়না হয়ে উঠেছে। এই সময়ে এমন শিক্ষণীয় নাটক নির্মাণের জন্য নির্মাতাকে স্যালুট।” 

নাটকের মূল গল্পকার মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, চিত্রনাট্য লিখেছেন জোবায়েদ আহসান। অভিনয়ে ছিলেন জোভান, নিহা ছাড়াও এজাজুল ইসলাম, সুষমা সরকার, তানজিম অনিক, জেবিন, তাবাসুম ছোঁয়াসহ অনেকে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে ‘সহযাত্রী’