আলোচিত মহেশ বাবু কত কোটি টাকার মালিক?
Published: 23rd, April 2025 GMT
‘প্রিন্স অব টলিউড’খ্যাত অভিনেতা মহেশ বাবু। পর্দায় অসাধারণ অভিনয় এবং অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব গুণের কারণে অসংখ্য ভক্ত তার। ১৯৭৯ সালে ‘নিডা’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে ‘রাজাকুমাড়ু’ সিনেমার মাধ্যমে নায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। এরপর যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি অঢেল অর্থেরও মালিক হয়েছেন।
হঠাৎ অর্থ জালিয়াতি মামলায় মহেশ বাবুর নাম জড়িয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৮ এপ্রিল ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মূলত, রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার কারণে মহেশের নাম এই মামলায় জড়িয়েছে। ফলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন এই তারকা অভিনেতা। চলুন জেনে নিই, মহেশ ঠিক কত টাকার মালিক-
সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, তেলেগু সিনেমার সবচেয়ে ধনী তারকাদের একজন মহেশ বাবু। চলতি বছরের হিসাব অনুযায়ী, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩০০-৩৫০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২৭-৪৯৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা)। এর মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে ৪৮ কোটি রুপির মালিক হয়েছেন তিনি।
২০০৫ সালে ‘আথাড়ু’ সিনেমার জন্য ৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন মহেশ বাবু। তারপর কেটে গেছে দুই দশক। বর্তমানে প্রতি সিনেমার জন্য ৬০-৮০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। তার পরবর্তী সিনেমা ‘এসএসএমবি২৯’। এটি পরিচালনা করছেন এস এস রাজামৌলি।
জানা যায়, রাজামৌলির এ সিনেমার জন্য কোনো পারিশ্রমিক নেবেন না মহেশ বাবু। তবে রাজামৌলি ও মহেশ বাবু সিনেমাটির লভ্যাংশ নেবেন। এতে করে ১০০-১৫০ কোটি রুপি আয় করতে পারবেন মহেশ বাবু।
আইএমডিবি’র তথ্য অনুসারে, মহেশ বাবু তার প্রথম সিনেমার জন্য ৭৫ লাখ রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। গত বছরের হিসাব অনুযায়ী, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩০০ কোটি রুপি (৪২৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার বেশি)।
মহেশ বাবু অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘গুন্তুর করম’। এটি পরিচালনা করেন ত্রিবিক্রম শ্রীনিবাস। গত বছরের ১২ জানুয়ারি মুক্তি পায় এটি। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন মীনাক্ষী চৌধুরী ও শ্রীলীলা। তাছাড়াও অভিনয় করেন— জগপতি বাবু, জয়রাম, ব্রাহ্মানন্দ, রামায়্যা কৃষ্ণান, প্রকাশ রাজ, রেখা, সুনীল প্রমুখ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন ম র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন।
সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।