Prothomalo:
2025-05-01@05:49:46 GMT

বোতলে ৫০ বছর আগের বার্তা

Published: 23rd, April 2025 GMT

ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ বাহামা। চোখজুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশটির একটি দ্বীপের সাগরতীর ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন দুই ভাই। তাঁদেরই একজন বালুর নিচে খুঁজে পান একটি বোতল। বোতলটির ভেতরে কাগজে লেখা ছিল কিছু বার্তা। আর ওই বার্তাগুলো লেখা হয়েছিল প্রায় ৫০ বছর আগে।

ওই দুই ভাইয়ের নাম ক্লিন্ট বাফিংটন ও ইভান বাফিংটন। সাগরতীরে নানা জিনিসপত্র খুঁজে বের করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের। সপ্তাহ কয়েক আগে বোতলটি খুঁজে পান তাঁরা।

সাগরের স্রোতে বহুদূর থেকে ভেসে আসা বোতলটি প্রথম খুঁজে পান ইভান বাফিংটন। ক্লিন্ট বলেন, ‘হঠাৎ আমি শুনতে পেলাম, আমার ওয়াকিটকিটি সরব হয়ে উঠল। আর আমার ভাই অনেকটা এমনভাবে বলল, “এইমাত্র আমি যা পেয়েছি, তা তুমি বিশ্বাস করতে পারবে না।”’

বালুর নিচে খুঁজে পাওয়া বোতলটি ছিল কোমল পানীয় পেপসির। সেটির ভেতরে শতাধিক বার্তা লেখা ছিল। ১৯৭৬ সালে সেগুলো লিখেছিল ১৪ বছর বয়সী কিশোর পিটার আর টম্পসন। তখন সে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ওয়েস্ট নিউবেরি শহরের একটি স্কুলের ছাত্র। স্কুলে সমুদ্রবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করছিল। তার লেখা বার্তা অনুযায়ী, বোতলটি সাগরে ফেলেছিল মার্কিন কোস্টগার্ড।

নানা সূত্র মিলিয়ে বার্তাগুলোর লেখক পিটার আর টম্পসনকে খুঁজে বের করেছেন বাফিংটন ভাইয়েরা। তিনি বেঁচে আছেন। কৈশোর ছাড়িয়ে পিটার এখন প্রৌঢ়। বার্তাগুলোর কথা এখন তাঁর আর মনে নেই। তবে স্কুলে সমুদ্রবিদ্যার ক্লাসগুলো ভালোভাবেই স্মরণ করতে পারেন তিনি।

পিটার বলেন, এটি অসাধারণ। প্রায় ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। তাই এটি অবাক হওয়ার মতো।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ