কোপা দেল রে ফাইনালে বার্সেলোনার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে শিরোপা লড়াইয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বড় ধাক্কা খেলো লস ব্লাঙ্কোসরা। ইনজুরির কারণে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পাওয়া যাবে না দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই ফুটবলার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও ডেভিড আলাবাকে।

গতকাল রাতে গেটাফের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পেলেও ম্যাচটি হতাশা ছড়িয়েছে রিয়াল শিবিরে। ম্যাচ চলাকালেই চোট পান কামাভিঙ্গা ও আলাবা। শীর্ষ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এমন দুইজনকে হারানো নিঃসন্দেহে বড় আঘাত।

ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি জানান, চোট গুরুতর কি না, তা নির্ভর করছে পরবর্তী পরীক্ষার ফলাফলের ওপর। তবে তিনি ধারণা করছেন, দুজনেই মাংসপেশির চোটে ভুগছেন। আনচেলত্তির ভাষায়, ‘আগামীকাল সব পরিষ্কার হবে। তবে শনিবার মাঠে নামাটা তাদের জন্য খুব কঠিন।’

রিয়ালের একাদশের হয়ে মাঠে নামা আলাবাকে ৪৫ মিনিটে মাঠ থেকে তুলে নেন আনচেলত্তি। বাঁ পায়ের মাংসপেশিতে চোট পেয়েছেন এই অস্ট্রিয়ান সেন্টারব্যাক। তার বদলি হিসেবে নামা কামাভিঙ্গা ৮৫ মিনিটে হেতাফে মিডফিল্ডার লুইস মিলার চ্যালেঞ্জের সামনে পড়ে কুঁচকিতে চোট পান। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ জানিয়েছে, কামাভিঙ্গা মাঠ ছেড়ে যেতে না চাইলেও ব্যথার কাছে হার মেনে বাধ্য হয়েই তাঁকে মাঠের বাইরে যেতে হয়। বদলি খেলোয়াড় নামানোর সুযোগ আর না থাকায় কামাভিঙ্গা উঠে যাওয়ার পর ১০ জন নিয়ে খেলেছে রিয়াল।

চলতি মৌসুমে এর আগে লা লিগায় বার্সেলোনার বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই হার মানতে হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদকে। এমন অবস্থায় শিরোপার মঞ্চে নামার আগে দুই মূল খেলোয়াড়কে হারানো তাদের জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে আহত ২০

ঝিনাইদহ পৌর এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে একাধিক কুকুর পথচারীদের আক্রমণ করে কামড় দেয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী বসাক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানসহ অন্তত ১৫ জনকে হাসপাতালে টিকাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

হামদহ মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা দীপু মিয়া বলেন, ‘বিকেলে আমাদের এলাকায় এক পথচারীকে একটি পাগলা কুকুর কামড় দেয়। কুকুরটি কয়েকজন পথচারীকে কামড় দিয়েছে, এমনকি বাড়ির ভেতরে ঢুকে শিশুদেরও আক্রমণ করেছে। দীর্ঘদিন শহরের বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে টিকা দেওয়া হয় না। এখন শহরে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু হামদহ মোল্লাপাড়াই নয়, শহরের বিভিন্ন জায়গায় পাগলা কুকুর মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে। সন্ধ্যায় সরকারি বালক বিদ্যালয়ের সামনে এক শিশুকে বাঁচাতে গেলে জামির নামে এক যুবক কুকুরের কামড়ে আহত হন। একইভাবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ঢুকে শাহিনুর রহমান নামে এক কর্মকর্তাকে কামড় দেয় কুকুরটি। আর কাঠপট্টি এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী বসাকও কুকুরের কামড়ে আহত হন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এসএএও শাহিনুর রহমান বলেন, ‘অফিস শেষ করে গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেল নিচ্ছিলাম। হঠাৎ গাড়ির নিচ থেকে একটি কুকুর দ্রুত আমার দিকে আসে। তাড়ানোর চেষ্টা করলে সেটি আমার পায়ে কামড়ে দেয়। পরে অনেক চেষ্টা করে কুকুরটিকে তাড়াতে পারি। পরে হাসপাতালে এসে টিকা নিয়েছি।’

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী বসাক বলেন, ‘ঝিনাইদহ শহর থেকে ফিরে সড়ক ভবনসংলগ্ন কাঠপট্টি এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ একটি কুকুর এসে আমার ডান হাতে কামড় দেয়। এখন হাতে প্রচণ্ড যন্ত্রণা করছে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছি।’

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ছোয়া ইসরাইল বলেন, কুকুরে কামড়ানো রোগীদের টিকাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত।

ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে পৌর এলাকার বেওয়ারিশ কুকুরদের ধরে টিকা দেওয়া হতো। করোনার সময় থেকে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে কী করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ