দেশজুড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার ২০৪
Published: 24th, April 2025 GMT
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পেশাদারিত্বের সঙ্গে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই অংশ হিসেবে গত ১৮ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটসমূহ।
সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে পরিচালিত এই অভিযানে হত্যা মামলার আসামি, অবৈধ অস্ত্রধারী, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চিহ্নিত দুর্বৃত্ত, চোরাকারবারী, কিশোর গ্যাং সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী ও দালালচক্রের সদস্যসহ মোট ২০৪ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১৬টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৪১০টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১টি সাউন্ড গ্রেনেড, ৪টি ককটেল, ৬টি স্থানীয়ভাবে তৈরি হ্যান্ড বোমা, বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, দেশীয় অস্ত্র, স্বর্ণালংকার, মোটরসাইকেল, চোরাই মোবাইল ফোন, সিসিটিভি ক্যামেরা, অবৈধ পাসপোর্ট, নিষিদ্ধ ঔষধ ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও সারাদেশে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের বেতন-বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে চলমান অস্থিরতা প্রশমনে গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে গঠনমূলক মতবিনিময় ও সমঝোতায় পৌঁছেছে সেনাবাহিনী।
একইসাথে চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী সেনা টহল অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। সূত্র: আইএসপিআর
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।