মালদ্বীপের ধুভাফারু আইল্যান্ডে অভিযান পরিচালনা করে ৫০ জনেরও বেশি অবৈধ প্রবাসী শ্রমিককে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। ধুভাফারুর যৌথ টাস্কফোর্স এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ইমিগ্রেশন জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পুলিশের সহযোগিতায় ধুভাফারুতে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান চলাকালীন ১০০ জন প্রবাসী শ্রমিক অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে মোট ৫১ জন প্রবাসীকে আটক করা হয়।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অভিযানে আটককৃতদের জাতীয়তা প্রকাশ করেনি।
ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, হুরায় অবৈধভাবে বসবাসকারী আটক ৫১ প্রবাসীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মালদ্বীপে অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি প্রবাসীকে মালদ্বীপ থেকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মালদ্বীপের রাজধানীতে চলমান অভিযান থেকে বাঁচতে অনেক অবৈধ প্রবাসী আইল্যান্ডগুলোতে চলে যায়। এরপর থেকেই আইল্যান্ডগুলোতে অভিযান জোরদার করে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
মালদ্বীপে সমস্ত প্রবাসীদের বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহের জন্য একটি প্রোগ্রাম চলমান। গত ১৯ মার্চ মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয় জানায়, এখন পর্যন্ত এক লাখ অভিবাসীর বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ঢাকা/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।