এল ক্লাসিকোর আগে বার্সার স্কোয়াডে ফিরলেন স্টেগান
Published: 25th, April 2025 GMT
কোপা দেল রে’র ফাইনাল সামনে রেখে বড় দারুণ এক খবর পেল বার্সেলোনা। ২১৫ দিন পর ইনজুরি কাটিয়ে স্কোয়াডে ফিরেছেন দলের অধিনায়ক ও প্রধান গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান। হাঁটুর অস্ত্রোপচার ও দীর্ঘ পুনর্বাসন শেষে অবশেষে তাকে ফিরতে দেখা যাবে এস্তাদিও দে লা কারতুহার রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে।
তবে সুসংবাদের মাঝেও দুঃসংবাদ আছে বার্সার জন্য। চোটের কারণে ফাইনালে দেখা যাবে না দলের মূল স্ট্রাইকার রবার্ট লেভান্ডোভস্কিকে। সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ পায়ের উরুতে চোট পেয়েছিলেন তিনি। বার্সা জানিয়েছে, তার সেমিটেনডিনোসাস পেশিতে আঘাত লেগেছে এবং তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ।
তবে টের স্টেগানের প্রত্যাবর্তন বার্সার জন্য বিশাল মনোবল বাড়ানোর মতো ব্যাপার। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে চোট পাওয়ার পর মনে করা হচ্ছিল, পুরো মৌসুমই তাকে মাঠের বাইরে কাটাতে হবে। তাই বিকল্প হিসেবে ভয়চেখ শেজনিকে দলে টেনেছিল বার্সা। কিন্তু প্রত্যাশার অনেক আগেই সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরলেন জার্মান এই গোলরক্ষক।
লেভান্ডোভস্কির অনুপস্থিতিতে আক্রমণভাগে এবার ভরসা হতে যাচ্ছেন ফেরান তরেস, লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়া। সেমিফাইনালে জয়সূচক গোল করে দারুণ ফর্মে আছেন ফেরান। মাঝমাঠে থাকবেন দানি অলমো, যিনি চোট কাটিয়ে পুরোপুরি ফিট। তবে ইনজুরির কারণে ফাইনাল মিস করছেন আরও কয়েকজন আলেহান্দ্রো বালদে, মার্ক বের্নাল ও মার্ক কাসাদো।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এল ক ল স ক ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।