ক্ষমতায় গেলে বিএনপি হিন্দুদের জমি পাহারা দেয়, আ. লীগ দখল করে: দুলু
Published: 25th, April 2025 GMT
বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে সংখ্যালঘুদের জমি-জায়গা পাহারা দেয় আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তা দখল করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখনই হিন্দু ভাইদের জায়গা-জমি-বাড়ি দখল হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ১৯৯১-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আমরা আপনাদেরকে পাহারা দিয়েছি। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত আপনারা সব থেকে ভালো সময় কাটিয়েছেন। কিন্তু ২০০৮-২০২৪ সাল পর্যন্ত খুব কষ্টের মধ্যে ছিলেন।
আজ শুক্রবার নাটোর শহরের পিলকানা স্বর্ণপট্টি এলাকায় শ্রী মন মহা প্রভুর বাৎসরিক ভোগ মহোৎসবে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমান, আমাদের নেতা খালেদা জিয়া আপনাদের সাথে আছে, থাকবে। এখানে আমাদের হিন্দু-মুসলমান কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা ভাই-ভাই। এই দেশ আমাদের। আমরা হিন্দু-মুসলমান যার যার ধর্ম সে সে পালন করবো। এই হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আফতাব, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সোহাগ প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ আওয় ম ল গ ক ষমত য় আম দ র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টা শুল্ক ২০% হওয়াটা স্বস্তির খবর
আলহামদুলিল্লাহ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ হয়েছে। এটি আমাদের জন্য স্বস্তির খবর। এ শুল্কহার ব্যবস্থাপনযোগ্য। একটি বিশ্ব শক্তির চাপের মুখে এ সফল সমঝোতা করতে পারায় সরকার ও আলোচনা দলের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন। এটি সম্ভবত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে কঠিন লড়াইগুলোর একটি ছিল, যা পরিপক্বতা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে বিষয়টি মোকাবিলা করেছে তারা।
আমাদের এখন সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, ভিয়েতনাম ভবিষ্যতে পাল্টা শুল্ক কমানোর চেষ্টা করে যাবে। এমনকি ভারতও সুবিধাজনক চুক্তি করতে পারে। ফলে আমাদেরও চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
এটি মনে রাখা জরুরি যে এই ২০ পাল্টা শুল্ক বিদ্যমান শুল্কের ওপর অতিরিক্ত হিসেবে আরোপ হবে। ফলে ব্র্যান্ডগুলো খুচরা মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে বা ক্রয়াদেশের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে। ব্র্যান্ডদের কেউ কেউ আমাদের এ শুল্ক ভাগাভাগির জন্য চাপ দিতে পারে। এ চাপের কাছে নত হওয়া যাবে না। কারণ, এটি আর্থিকভাবে অসম্ভব ও শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।
বর্তমান সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের এখন আরও উদ্ভাবনী হতে হবে। দক্ষতা বাড়াতে হবে। পণ্যের মান, সময়মতো পণ্য সরবরাহ ও টেকসই উৎপাদনের ওপর জোর দিতে হবে। এতে বিশ্ববাজারে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়।
আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার কৌশল অব্যাহত রাখি, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে ব্যবসা আরও প্রসারিত হবে। বাংলাদেশ আরও শক্তিশালীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিষ্ঠিত হবে।
শরীফ জহির
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অনন্ত গ্রুপ ও চেয়ারম্যান, ইউসিবি