রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তির অংশ হিসাবে ইউক্রেনকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎশকো। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

রাশিয়া শান্তিচুক্তির পূর্বশর্ত হিসেবে দখলকৃত ক্রিমিয়াকে মস্কোর অঞ্চল বলে স্বীকৃতি দিতে বলে ইউক্রেনকে। এছাড়া রাশিয়া যেসব অঞ্চল ইতিমধ্যে দখল করে নিয়েছে সেগুলো ইউক্রেন আর দাবি করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এসব শর্ত মানবেন না বলে জানিয়েছেন। আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ অবসানে ইউক্রেনকে ভূখন্ডে ছাড় মেনে নিতে চাপ দিচ্ছেন।

বিবিসির এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র ভিতালি ক্লিৎশকো বলেছেন, “সম্ভাব্য একটি পরিস্থিতি হচ্ছে, ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া। এটি ন্যায্য নয়। কিন্তু শান্তির জন্য, ক্ষণস্থায়ী শান্তির জন্য এটি একটি সাময়িক সমাধান হতে পারে।”

তবে ইউক্রেনের মানুষ কোনোভাবেই রুশ দখলদারিত্ব মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন ভিতালি। 

২০২২ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে পূর্ণ সামরিক অভিযান শুরু করেন। বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে রয়েছে।

যুদ্ধ অবসানে এর আগে ইউক্রেনের কয়েকজন জ্যোষ্ঠ রাজনীতিবিদ ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। এবার তাদের যুক্ত হলেন মেয়র ভিতালি ক্লিৎশকো।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ