ইউক্রেনকে ভূখণ্ড ছাড়তে হতে পারে: কিয়েভের মেয়র
Published: 25th, April 2025 GMT
রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তির অংশ হিসাবে ইউক্রেনকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎশকো। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
রাশিয়া শান্তিচুক্তির পূর্বশর্ত হিসেবে দখলকৃত ক্রিমিয়াকে মস্কোর অঞ্চল বলে স্বীকৃতি দিতে বলে ইউক্রেনকে। এছাড়া রাশিয়া যেসব অঞ্চল ইতিমধ্যে দখল করে নিয়েছে সেগুলো ইউক্রেন আর দাবি করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এসব শর্ত মানবেন না বলে জানিয়েছেন। আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ অবসানে ইউক্রেনকে ভূখন্ডে ছাড় মেনে নিতে চাপ দিচ্ছেন।
বিবিসির এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র ভিতালি ক্লিৎশকো বলেছেন, “সম্ভাব্য একটি পরিস্থিতি হচ্ছে, ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া। এটি ন্যায্য নয়। কিন্তু শান্তির জন্য, ক্ষণস্থায়ী শান্তির জন্য এটি একটি সাময়িক সমাধান হতে পারে।”
তবে ইউক্রেনের মানুষ কোনোভাবেই রুশ দখলদারিত্ব মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন ভিতালি।
২০২২ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে পূর্ণ সামরিক অভিযান শুরু করেন। বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে রয়েছে।
যুদ্ধ অবসানে এর আগে ইউক্রেনের কয়েকজন জ্যোষ্ঠ রাজনীতিবিদ ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। এবার তাদের যুক্ত হলেন মেয়র ভিতালি ক্লিৎশকো।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।