বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ৪ দফা দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের কক্ষসহ তার দপ্তরের আওতাধীন সব কক্ষে তালা দিয়েছে।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ তালা লাগানো হয়। এর আগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
 
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, রেজিস্ট্রারকে দাপ্তরিকভাবে অপসারণ করা না হলে তারা তালা খুলবেন না। 

তিনি বলেন, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম ভোলার মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি জুলাই আন্দোলনে বিরোধীতাকারীদের অন্যতম। তাকে অপসারণসহ ৪ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন করেছেন। কিন্ত ববি উপাচার্য তাদের দাবির প্রতি কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। রেজিস্ট্রারকে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি করেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা মোশারফ হোসেন। 

শিক্ষার্থীরা জানান, ৪ দফা দাবি মেনে নিতে উপাচার্য ড.

শুচিতা শারমিনকে বৃহস্পতিবার ২ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। শনিবার আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, তালা দেওয়ার সময়ে উপাচার্য তার কক্ষে ছিলেন না।

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার থেকে ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপমানজনক অপবাদ প্রত্যাহার করে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের পদে পুনর্বহাল, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে অপসারণ, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষকদের লাভজনক কমিটি থেকে অপসারন এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানের রাস্তায় রাস্তায়  ‘হিটেড বেঞ্চ’

জাপানের টোকিও, সাপোরো এবং ওসাকার মতো বড় বড় শহরগুলোর রাস্তায় হিটেড বেঞ্চ বসানো হয়েছে। তীব্র শীতের রাতে গৃহহীন মানুষদের উষ্ণতা এবং স্বস্তি দেওয়াই এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।এই বেঞ্চগুলো সৌরশক্তি চালিত হয়ে থাকে।

হিটেড বেঞ্জগুলো দিনের বেলায় সূর্যের আলো থেকে তাপ সংগ্রহ করে বিশেষ "ফেজ-চেঞ্জ মেটেরিয়াল" ব্যবহার করে তা সংরক্ষণ করে।  এরপর সংরক্ষিত তাপ রাতে ধীরে ধীরে নির্গত হয় এবং প্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত উষ্ণতা সরবরাহ করতে পারে। এটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। 

আরো পড়ুন:

কারা বেশি কাঁদেন? 

যেসব কারণে মানুষ স্বর্ণ জমায়

হিটেড বেঞ্চের জন্য কোনো অতিরিক্ত জ্বালানী বা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। এই মানবিক উদ্যোগটি জাপান সরকারের একটি সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ, যা নগর পরিকল্পনায় উদ্ভাবন এবং সামাজিক কল্যাণের এক চমৎকার উদাহরণ বলছেন দেশটির নাগরিকেরা। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ