ববির রেজিস্ট্রারের দপ্তরে শিক্ষার্থীদের তালা
Published: 27th, April 2025 GMT
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ৪ দফা দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের কক্ষসহ তার দপ্তরের আওতাধীন সব কক্ষে তালা দিয়েছে।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ তালা লাগানো হয়। এর আগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, রেজিস্ট্রারকে দাপ্তরিকভাবে অপসারণ করা না হলে তারা তালা খুলবেন না।
তিনি বলেন, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম ভোলার মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি জুলাই আন্দোলনে বিরোধীতাকারীদের অন্যতম। তাকে অপসারণসহ ৪ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন করেছেন। কিন্ত ববি উপাচার্য তাদের দাবির প্রতি কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। রেজিস্ট্রারকে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি করেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা মোশারফ হোসেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, ৪ দফা দাবি মেনে নিতে উপাচার্য ড.
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, তালা দেওয়ার সময়ে উপাচার্য তার কক্ষে ছিলেন না।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার থেকে ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপমানজনক অপবাদ প্রত্যাহার করে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের পদে পুনর্বহাল, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে অপসারণ, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষকদের লাভজনক কমিটি থেকে অপসারন এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপ চ র য
এছাড়াও পড়ুন:
আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি: আসিফ মাহমুদ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ১/১১ প্রতিষ্ঠা করতে না পারলেও নানাভাবে এই সরকারকে বাধা দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি। তবে সুংসবাদ, আজ থেকে তিনদিন পর, ৫ আগস্ট আমরা জুলাই সনদ ঘোষণার সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি।
শনিবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে ‘রিবিল্ডিং দ্য ন্যাশন: বাংলাদেশ ২.০’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে বড় পরিবর্তন জনগণের মধ্যে হয়েছে, তা হলো রাজনৈতিক সচেতনতা। যে প্রেক্ষাপটে গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে, জুলাই সনদের ঘোষণাপত্র সেটিকে জাস্টিফাই করে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সেন্ট্রাল কানেক্টিং পয়েন্ট, পরবর্তীকালে অনেকেই এই ব্যানারটিকে মিস ইউজ করেছে। যে জায়গা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে সাধুবাদ। তবে আমি প্রত্যাশা করবো, তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা রাখবে।’’
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মরদেহ সম্পর্কে উপদেষ্টা আসিফ মাহমদু বলেন, ‘‘৬টি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আছে। হয়তো বেশিদিন রাখা সম্ভব হবে না। তাদের ডিএনএ স্যাম্পল রাখা হবে। তাদের পরিবার যোগাযোগ করে নিয়ে যেতে পারবেন। আগামী ৪ আগস্ট তাদের দাফন করা হবে।’’
‘‘ডিএনএ টেস্ট করে গণকবরে যারা সমাহিত হয়েছেন, তাদের শনাক্ত করা হবে এবং তাদের পরিবারের কেউ নিয়ে যেতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো’’, যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/রাহাত//