মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদল নেতা ফজল হক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে বাশতৈল ইউনিয়নের বংশিনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন নিহত যুবদল নেতার স্ত্রী মরিয়ম বেগম এবং ছেলে মনিরুজ্জামান। নিহত ফজল হক বংশিনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বাশতৈল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি।

জানা গেছে, প্রায় ৪৭ বছর আগে ফজল হকের দাদি বংশিনগর মৌজায় ৫৫ শতক জমি তাকে লিখে দেন। বিষয়টি তিনি সম্প্রতি জানতে পেরে জমিটির দখল বুঝে পেতে উদ্যোগ নেন। তিনি জমিটির চারপাশে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে দখলে নেন। এ নিয়ে তার ফুপাতো ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মাতবরদের উপস্থিতিতে একাধিক সালিশি বৈঠকও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে একটি মামলাও করেছেন তিনি। তবু কোনো সমাধান হয়নি।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফজল হকের ফুপাতো ভাই একই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানর ছেলে পারভেস ৩০-৩৫ জন লোক নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমির কাটা তারের বেড়া তুলে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে ফজল হককে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে এগিয়ে এসে হামলার শিকার হন স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও ছেলে মনিরুজ্জামান। গুরুতর অবস্থায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ফজল হককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.

ফরিদুল ইসলাম।

খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ফজল হকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্তরা। অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনার অভিযোগে ৬টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে ভারতের ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব প্রতিষ্ঠান ইরানের পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনাবেচা ও বিপণনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনে ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নিয়েছে। এতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় কোম্পানির ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেগুলো হচ্ছে, অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস, জুপিটার ডাই কেম, রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি, পার্সিসটেন্ট পেট্রোকেম ও কাঞ্চন পলিমার্স।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের

ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

 

নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন নাগরিক ও কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এদের অধীন যেসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মালিকানা রয়েছে, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ইরানের ‘ছায়া নৌবহর’ ও বিশ্বব্যাপী মধ্যস্বত্বভোগীদের দমন করা, যারা ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য পরিবহনে সহায়তা করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান থেকে এই ধরনের পণ্য কেনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তেহরানকে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ, হুথি বিদ্রোহী, হামাসসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় এবং যুদ্ধপরিস্থিতি উসকে দিতে। মার্কিন সরকারের মতে, ইরান সরকারের এই নীতিমালার কারণে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় কোম্পানি ছাড়াও তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ