মির্জাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদল নেতা নিহত
Published: 27th, April 2025 GMT
মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদল নেতা ফজল হক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে বাশতৈল ইউনিয়নের বংশিনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন নিহত যুবদল নেতার স্ত্রী মরিয়ম বেগম এবং ছেলে মনিরুজ্জামান। নিহত ফজল হক বংশিনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বাশতৈল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি।
জানা গেছে, প্রায় ৪৭ বছর আগে ফজল হকের দাদি বংশিনগর মৌজায় ৫৫ শতক জমি তাকে লিখে দেন। বিষয়টি তিনি সম্প্রতি জানতে পেরে জমিটির দখল বুঝে পেতে উদ্যোগ নেন। তিনি জমিটির চারপাশে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে দখলে নেন। এ নিয়ে তার ফুপাতো ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মাতবরদের উপস্থিতিতে একাধিক সালিশি বৈঠকও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে একটি মামলাও করেছেন তিনি। তবু কোনো সমাধান হয়নি।
রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফজল হকের ফুপাতো ভাই একই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানর ছেলে পারভেস ৩০-৩৫ জন লোক নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমির কাটা তারের বেড়া তুলে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে ফজল হককে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে এগিয়ে এসে হামলার শিকার হন স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও ছেলে মনিরুজ্জামান। গুরুতর অবস্থায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ফজল হককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ফজল হকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্তরা। অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাবা পটুয়া কামরুল হাসান স্মরণে মেয়ে শুমোনা হাসানের গান
ভালোবাসা, স্মৃতি ও উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে এক আবেগঘন পরিবেশে পটুয়া কামরুল হাসানের কন্যা শুমোনা হাসান তার বাবাকে উৎসর্গ করে একটি হৃদয়স্পর্শী গান প্রকাশ করেছেন।
বাবা দিবস উপলক্ষে আজ দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে ‘কত দূর বাবা তোমার বাড়ি’ শিরোনামে গানটি প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুমোনার পরিবার, ঘনিষ্ঠজন, এবং সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মীরা।
গানটি শুমোনার নিজস্ব রচনা, সুর এবং কণ্ঠে পরিবেশিত। এতে ফুটে উঠেছে একজন কন্যার তার বাবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো, তাদের ভালবাসা, সংগ্রাম এবং অনন্য সম্পর্কের গল্প। গানের প্রতিটি কথা ও সুর যেন এক আবেগের যাত্রাপথ।
অনুষ্ঠানে শুমোনা বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য এক বিজয়ী এবং আবেগময় সময়। বাবার আত্মা সবসময় আমাকে পথ দেখিয়েছে। এই গানটি তার প্রতি আমার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার ছোট্ট বহিঃপ্রকাশ।’
শুমোনা জানান, ভবিষ্যতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রেখে তাঁর বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে চান সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে।