ভোলায় বাসশ্রমিক ও অটোরিকশার চালকদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ, সব রুটে চলাচল বন্ধ
Published: 28th, April 2025 GMT
ভোলার চরফ্যাশনে বাসশ্রমিক ও অটোরিকশাচালকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি, হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চরফ্যাশন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এর প্রতিবাদে ভোলা-চরফ্যাশন রুটসহ ভোলা শহর থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। একই সঙ্গে তারা অটোরিকশা চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
বাসশ্রমিক ও অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় চরফ্যাশন বাজারে যানবাহনে যাত্রী তোলা নিয়ে বাসশ্রমিক ও অটোরিকশাচালকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি, যাত্রী টানাহেঁচড়া, হাতাহাতির ঘটনায় মো.
বাসশ্রমিকেরা ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গতকাল রাতে ও আজ সোমবার ভোরে বিক্ষোভ মিছিল করে দূরপাল্লায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবি করেন। আজ সকালে তাঁরা ১১টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটক করে বাসস্ট্যান্ডে রাখেন।
এ কারণে আজ সকালে ভোলা-চরফ্যাশন (ভায়া দক্ষিণ আইচা), চরফ্যাশন-দক্ষিণ আইচা, ভোলা-তজুমদ্দিন, ভোলা-ইলিশা, ভোলা-দৌলতখান, ভোলা-বাবুরহাট এবং ভোলা-আঞ্জুরহাট রুটে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে না। ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব রুটের যাত্রীরা।
জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, চরফ্যাশন বাজারে যাত্রী ওঠানোর সময় অটোরিকশার শ্রমিকেরা বাসের চালক ও টিকিট মাস্টারের ওপর হামলা চালান। এ ঘটনার বিচার ও আঞ্চলিক সড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা বাস চালাবেন না।
এ সম্পর্কে ভোলা অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘চরফ্যাশনে যাত্রী তোলা নিয়ে বাস ও অটোরিকশার শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। ওরা দলবল ভারী করে তাঁদের শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছেন। উল্টো বাস ধর্মঘট করেছেন। আমরা অটোরিকশা নিয়ে সড়কে নেমেছি, আমাদের ১১টি অটোরিকশা আটক করে রেখেছে। নিজেরা যাত্রী টানছে না, আমাদের টানতে দিচ্ছে না। বাসশ্রমিকেরা যাত্রী ভোগান্তির মূল কারণ।’
এদিকে দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ভোলা বাস মালিক সমিতির ডিপোর প্রধান অসীম বাবু বলেন, আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান তাঁদের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সমঝোতা বৈঠকের জন্য ডেকেছেন। আশা করা যায়, বৈঠকে তাঁদের দাবি আদায় হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।