রেকর্ড তছনছ করে ১৪ বছরের বৈভবের সেঞ্চুরি
Published: 28th, April 2025 GMT
সূর্যবংশী বৈভবের বয়স নিয়ে সন্দেহ আছে। কাগজে-কলমে তার বয়স ১৪ বছর ৩২ দিন। বয়স কমালে কতই বা কমিয়েছেন তিনি? দুই বছর? তবু তো ১৬! ওই বয়সেই আইপিএলের রেকর্ড এলোমেলো করে দেওয়া এক সেঞ্চুরি করেছেন রাজস্থান রয়েলসে খেলা এই ওপেনার।
গুজরাট টাইটান্সের ২১০ রান তাড়া করতে নেমে তরুণ এই ব্যাটার মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। তাও আবার তার খেলতে নামা তৃতীয় আইপিএল ম্যাচে। ৩৫ বলে করা তার এই সেঞ্চুরি আইপিএলের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।
বৈভবের ব্যাটিংয়ের সময় মনে হচ্ছিল ক্রিস গেইলের ঝড়ো সেঞ্চুরির রেকর্ড তিনি ভেঙে দেবেন। আইপিএলে মাত্র ৩০ বলে সেঞ্চুরির কীর্তি আছে তার। দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ইউসুফ পাঠানের দখলে ছিল। তিনি ৩৭ বলে শতক ছুঁয়েছিলেন।
বৈভব তার চেয়ে দুই বল কম খেলে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। শতরানের ইনিংস খেলার পথে ১১টি ছক্কা তোলেন এই তরুণ। চার মারেন সাতটি। শেষ পর্যন্ত আউট হন ৩৮ বলে ১০১ রান করেই।
দুর্দান্ত এই সেঞ্চুরির পথে বৈভব ইনিংসের চতুর্থ ওভারে অভিজ্ঞ ইশান্ত শর্মাকে তিনটি ছক্কা ও দুটি চার মারেন। অর্থাৎ পাঁচ বলে বাউন্ডারি হাঁকান এই তরুণ। ইশান্ত ওই ওভারে দেন ২৮ রান। পরের ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের তিন বল খেলে দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন তিনি।
দশম ওভারে করিম জানাতের ৬ বলেই বাউন্ডারি হাঁকান ১৪ বছরের বৈভব। ওই ওভারে তিন ছক্কা ও তিন চার মারেন। তুলে নেন ৩০ রান। ১১তম ওভারে রশিদ খানকে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। আইপিএলের সব চেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে নিলামে উঠে ও দল পেয়ে আগেই রেকর্ড গড়েছেন তিনি। সবচেয়ে কম বয়সে আইপিএল খেলে রেকর্ড দখলে নিয়েছেন। এবার সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ডও করে ফেলেছেন বৈভব।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকাত দেখে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি পান করিয়ে সুস্থ করার পর টাকা-স্বর্ণালংকার লুট
প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার সেরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ওষুধ ব্যবসায়ী সোবাহান হাওলাদার (৬০)। রাত দুইটার দিকে দরজা ভেঙে একদল ডাকাত ঘরে প্রবেশ করলে তিনি আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় ডাকাতেরা তাঁকে পানি পান করতে দিয়ে তাঁর সেবাযত্ন করে। পরে তারা স্বর্ণালংকার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া একই বাড়ির সোবাহান হাওলাদারের ভাতিজা আধা পাকা ঘরের দরজা ভেঙে ডাকাত দল টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ডাক–চিৎকার না দেওয়ায় ডাকাতেরা তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি। তাঁদের দাবি দুই ঘর থেকে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ৩৮ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা হলেন সুবিদখালী বাজারের ওষুধের ব্যবসায়ী সোবাহান হাওলাদার ও তাঁর ভাতিজা ঝাটিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জহিরুল ইসলাম।
জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রাত দুইটার দিকে বৈরী আবহাওয়া ছিল। বৃষ্টির মধ্যে মুখোশ পরা একদল ডাকাত তাঁর ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে কাপড় দিয়ে সবার চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। তারা নিজেদের ডাকাত পরিচয় দেয় এবং ঘরের সব আসবাব তছনছ করে ১৮ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং অন্যান্য মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
ডাকাতেরা দুটি ঘরের সব আসবাব তছনছ করে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৩৮ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে গেছে