বকেয়া রিকশা ভাড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৫০
Published: 1st, May 2025 GMT
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বকেয়া রিকশা ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার সকালে সদর ইউনিয়নের কানাইপুর গ্রামের শান্তিনগরে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত কয়েকজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন– সদর ইউনিয়নের কানাইপুর গ্রামের রুহুল আমিন, জান্নাতুল বেগম, তাহমিনা বেগম, উজ্জ্বল মিয়া, ইকবাল মিয়া, সিতন মিয়া, উজ্জ্বল মিয়া (২), সুফিয়া বেগম ও উমর আলী। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে কানাইপুর গ্রামের শান্তিনগর এলাকার বাহার মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন একই গ্রামের রুশন মিয়ার ছেলে আলমগীরের কাছে বকেয়া ৫০ টাকা রিকশা আদায় করতে যায়। এ সময় আলমগীর ভাড়া পরিশোধ না করে রুহুল আমিনের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রিকশাচালক রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি আলমগীরের কাছে রিকশা ভাড়া আদায়ে গেলে সে আমাকে মারধর করে। প্রতিবাদ করলে সে আরও উত্তেজিত হয়ে দলবল নিয়ে এসে হামলা করে। আজকে (বুধবার) আবার এলে আমার আত্মীয়স্বজন প্রতিবাদ করতে জড়ো হন।’
আলমগীর মিয়া বলেন, ‘সে রিকশা ভাড়া চাইতে এসে আমাকে খারাপ ভাষায় গালাগাল করেছে। তাই তাকে শাসিয়েছি।’
নবীগঞ্জ থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র হ ল আম ন আলমগ র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব