‘৫০ বছরে একবার জন্মায় এমন প্রতিভা’ — ইয়ামালকে নিয়ে ইনজাঘি
Published: 1st, May 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো প্রতিযোগিতায় বয়স যে শুধুই একটি সংখ্যা, তা যেন প্রমাণ করে চলেছেন বার্সেলোনার তরুণ তারকা লামিনে ইয়ামাল। গত রাতে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে প্রথম লেগে দুর্দান্ত এক গোল করে নিজের জাত চেনালেন ১৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
এস্তাদি অলিম্পিক লুইজ কোম্পানিস স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মাত্র ২১ মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান। তবে বার্সেলোনা হাল ছাড়েনি। ২৪ মিনিটে পাঁচজন ডিফেন্ডারকে চমৎকারভাবে কাটিয়ে গোল করে ব্যবধান কমান ইয়ামাল।
গোলটি দেখে মুগ্ধ ইন্টার কোচ সিমিওন ইনজাঘি ম্যাচ শেষে বলেন, ‘ইয়ামাল এমন এক প্রতিভা, যে প্রতি ৫০ বছরে একবার জন্মায়। তাকে কাছ থেকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আমরা তাকে থামাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না।’
শুধু এক গোলেই থেমে থাকেননি ইয়ামাল। পুরো ম্যাচজুড়ে ইন্টারের রক্ষণদেয়ালকে নানাভাবে ভুগিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়।
ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলেন, ‘ইয়ামাল সত্যিই বিশেষ এক প্রতিভা। বড় মঞ্চে তার ঝলক আমাদের জন্য আশীর্বাদ। সিমিওনের বক্তব্য যদি সত্যি হয় যে এমন খেলোয়াড় ৫০ বছরে একজন আসে, তাহলে আমাদের সৌভাগ্য তাকে পেয়েছি।’
ম্যাচের একটি গোল ছিল আত্মঘাতী। ৬৫ মিনিটে ইয়ামালের পাস থেকে রাফিনিয়ার নেওয়া শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে, বলটি ইন্টার গোলরক্ষক ইয়ান সোমেরের পিঠে লেগে জালে ঢুকে পড়ে। অন্যদিকে, ইন্টারের তিনটি গোলেই অবদান ছিল ডাঞ্জেল ডামফ্রিসের—দুটি নিজে করেন, আর একটি করান ম্যাচের ১ মিনিটেই মার্কাস থুরামকে দিয়ে।
আগামী ৬ মে সান সিরোতে হবে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ। সেই ম্যাচেই নিশ্চিত হবে ফাইনালে কারা জায়গা করে নিচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইন ট র ম ল ন ইন ট র
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।