আইপিএলের চলতি মৌসুমের প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এরপরই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। শেষ ছয় ম্যাচেই তুলে নিয়েছে জয়। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে হার্ডিক পান্ডিয়ার দল।

বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচে রাজস্থান রয়েলসের বিপক্ষে ১০০ রানের বিশাল জয় পেয়েছে মুম্বাই। সমান পয়েন্ট হলেও নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর শীর্ষস্থান দখল করেছে আইপিএলের সফলতম দলটি। অন্য দিকে আইপিএলের শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ শেষ হয়েছে রাজস্থানের।

এদিন মুম্বাই শুরুতে ব্যাট করে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান তোলে। ওপেনার রোহিত শর্মা ৩৬ বলে ৫৩ রান করেন। সাতটি চার মারেন তিনি। ইন্ডিয়ান্সের প্রোটিয়া ওপেনার রায়ান রিকেলটন ৩৮ বলে খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। তিনি সাতটি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা মারেন।

তিনে নেমে সূর্যকুমার যাদব ২৩ বলে ৪৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। চারটি চার ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান ভারতীয় জাতীয় দলের এই টি-২০ অধিনায়ক। ফিনিশার রোলে খেলা অধিনায়ক পান্ডিয়া ২৩ বলে ৪৮ রান যোগ করেন। ছয়টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।

জবাবে রাজস্থান ১৬.

১ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয়। ওপেনার জশস্বী জয়সোয়াল ১৩ ও বৈভব সূর্যবংশী শূন্য করে ফিরে যান। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন জোফরা আর্চার। আর কেউ ২০ রানের ঘরে ঢুকতে পারেননি।

এই ম্যাচ দিয়ে রাজস্থান ১১ ম্যাচ খেলে ৮টি হেরেছে। তাদের হাতে আছে তিন ম্যাচ। তিনটিতেই জিতলেও মুম্বাই ও বেঙ্গালুরুর সমান ১৪ পয়েন্ট তারা তুলতে পারবে না। একইভাবে ১০ ম্যাচে মাত্র ২ জয় পাওয়া চেন্নাই সুপার কিংসের প্লে অফে যাওয়ার সম্ভাবনাও একপ্রকার শেষ। যদিও কাগজে-কলমে সামান্য সম্ভাবনা টিকে আছে তাদের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অবস্থাও একই।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ম ব ই ইন ড য় ন স

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ