টানা ছয় জয়ে শীর্ষে মুম্বাই, প্লে অফের আশা শেষ যাদের
Published: 2nd, May 2025 GMT
আইপিএলের চলতি মৌসুমের প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এরপরই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। শেষ ছয় ম্যাচেই তুলে নিয়েছে জয়। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে হার্ডিক পান্ডিয়ার দল।
বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচে রাজস্থান রয়েলসের বিপক্ষে ১০০ রানের বিশাল জয় পেয়েছে মুম্বাই। সমান পয়েন্ট হলেও নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর শীর্ষস্থান দখল করেছে আইপিএলের সফলতম দলটি। অন্য দিকে আইপিএলের শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ শেষ হয়েছে রাজস্থানের।
এদিন মুম্বাই শুরুতে ব্যাট করে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান তোলে। ওপেনার রোহিত শর্মা ৩৬ বলে ৫৩ রান করেন। সাতটি চার মারেন তিনি। ইন্ডিয়ান্সের প্রোটিয়া ওপেনার রায়ান রিকেলটন ৩৮ বলে খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। তিনি সাতটি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা মারেন।
তিনে নেমে সূর্যকুমার যাদব ২৩ বলে ৪৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। চারটি চার ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান ভারতীয় জাতীয় দলের এই টি-২০ অধিনায়ক। ফিনিশার রোলে খেলা অধিনায়ক পান্ডিয়া ২৩ বলে ৪৮ রান যোগ করেন। ছয়টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।
জবাবে রাজস্থান ১৬.
এই ম্যাচ দিয়ে রাজস্থান ১১ ম্যাচ খেলে ৮টি হেরেছে। তাদের হাতে আছে তিন ম্যাচ। তিনটিতেই জিতলেও মুম্বাই ও বেঙ্গালুরুর সমান ১৪ পয়েন্ট তারা তুলতে পারবে না। একইভাবে ১০ ম্যাচে মাত্র ২ জয় পাওয়া চেন্নাই সুপার কিংসের প্লে অফে যাওয়ার সম্ভাবনাও একপ্রকার শেষ। যদিও কাগজে-কলমে সামান্য সম্ভাবনা টিকে আছে তাদের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অবস্থাও একই।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ম ব ই ইন ড য় ন স
এছাড়াও পড়ুন:
পুরো নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনই বাতিলের চক্রান্ত কেন
যুক্তিতর্কের বালাই না রেখে পুরো নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনই কেন বাতিল করার চক্রান্ত করা হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন পেশার ২২ জন গুরুত্বপূর্ণ নারী। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, যার যার যে প্রস্তাবে আপত্তি আছে, সে প্রস্তাব নিয়ে তর্কবিতর্ক দেশের গণতন্ত্রায়ণের জন্য জরুরিও বটে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, গবেষক ও মানবাধিকারকর্মী হানা শামস আহমেদ, নৃবিজ্ঞানী নাসরিন সিরাজ, সাংবাদিক সাদিয়া গুলরুখ, মানবাধিকার আইনজীবী তাবাস্সুম মেহেনাজ ও ইশরাত জাহান, শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী লায়েকা বশীর, গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন সংগঠক সুলতানা বেগম, পরিবেশ আন্দোলনকর্মী সৈয়দা রত্না, থিয়েটারকর্মী নাজিফা তাসনিম খানম তিশাসহ অধিকারকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশায় থাকা ২২ নারী।
বিবৃতিতে এই নারীরা বলেন, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন নারীবান্ধব প্রস্তাব পেশ করবে, সেটিই প্রত্যাশা এবং সেটিই উচিত। একটি কমিশনের সব প্রস্তাব সবার কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হবে, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। যার যার যে প্রস্তাবে আপত্তি আছে, সে প্রস্তাব নিয়ে তর্কবিতর্ক দেশের গণতন্ত্রায়ণের জন্য জরুরিও বটে। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, কেবল নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয় এলেই একদল যেন দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।’
বিবৃতিতে প্রশ্ন রেখে বলা হয়, ‘নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলে কি তাদের খুব অসুবিধা হবে? তারা কি এই সমাজের বাইরে? যুক্তিতর্কের বালাই না রেখে তারা পুরো কমিশন বাতিল করতে চায়। এই হীন চক্রান্ত কেন?’
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা বলেন, নারীকে হেয়প্রতিপন্ন করার মাধ্যমে নারীর প্রতি তারা যে আজন্ম ঘৃণা, হিংস্রতা ও নিপীড়নের মনোভাব লালন করে; সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাদের বক্তব্যে নারীদের নোংরাভাবে উপস্থাপন করে তারা নিজেদের ব্যক্তিগত চিন্তা, চেতনা ও রাজনৈতিক সংকীর্ণতাও প্রকাশ করছে।
বিবৃতিতে বিস্ময় প্রকাশ করে বলা হয়, নারীর প্রতি এই অসম্মান নিয়েই এরা রাষ্ট্র পরিচালনার স্বপ্নও দেখে। দেশের ৫১ শতাংশ নারীকে বাদ দিয়ে অথবা পদদলিত করে সরকার গঠনের দিবাস্বপ্ন কতটা অমূলক, সেটি বোঝার বোধবুদ্ধি পর্যন্ত তারা হারিয়েছে।
আরও পড়ুননারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও প্রতিবেদন বাতিলের দাবি১ ঘণ্টা আগেচিৎকার করে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া যায় না উল্লেখ করে বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা বলেন, সৎসাহস থাকলে নারী কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে কোথায়, কেন তাদের আপত্তি; সেটি নিয়ে তারা কথা বলতে পারে। রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণ কোনো ছেলের হাতের মোয়া নয় যে কেউ অন্যায়ভাবে হুংকার দেবে আর ভয় পেয়ে পুরো কমিশন বাদ দিয়ে দিতে হবে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, চরমপন্থী হুমকির মুখেও নারীর অধিকার সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে—রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জনসমক্ষে এ মর্মে ঘোষণা দিতে হবে।
এ ছাড়া ঘৃণা ও হুমকি উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা বলেন, ‘নারী কমিশনের প্রত্যেক সদস্য দীর্ঘদিন ধরে দেশের সাধারণ নারীদের এগিয়ে নিয়ে যেতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নেতৃস্থানীয় নারীদের অশালীন বাক্যে গালমন্দ করা আমরা কিছুতেই মেনে নেব না।’
আরও পড়ুননারীবিষয়ক কমিশন বাতিলসহ সব দাবি না মানলে দেশ অচলের হুঁশিয়ারি হেফাজতের৫ ঘণ্টা আগে