ফেনীর দাগনভুঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নে পুকুরে ডুবে নাফিজ (৮) ও ইয়াসিন (১০) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার দুপুরের পর উপজেলার পশ্চিম চন্ডিপুর গ্রামের হাটপুকুরিয়া সংলগ্ন মহব্বত আলী মিয়াজী বাড়ির পুকুরে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুপুরে দুধমুখা বাজারের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের ছেলে নাফিজ ও একই বাড়ির নিজাম উদ্দিনের ছেলে ইয়াসিন পুকুরে গোসল করতে নেমে আর উঠতে পারেনি। পরে নিহত দুই জনের মরদেহ ভেসে ওঠে।

নিহতদের স্বজন ও বাড়ির লোকজন নিহতদের উদ্ধার করে দাগনভুঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতদের মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে  হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

দাগনভুঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

ওয়াহিদ পারভেজ নিহতদের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় নিহতদের মৃত্যুর  ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হতদ র ম দ গনভ ঞ

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ