ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী মিষ্টি জান্নাত কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত কারণেই অধিক লাইমলাইটে থাকেন। এবার এ অভিনেত্রী জানালেন, উটের দুধের ব্যবসা করবেন তিনি।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিষ্টি জান্নাত বলেন, “আমি উটের দুধের চা খাই। এই দুধের ব্যবসা বাংলাদেশে শুরু করতে যাচ্ছি। খুব শিগগির লঞ্চ করব।”

কেন উটের দুধের ব্যবসা শুরু করতে চান, তার ব্যাখ্যা দিয়ে এই নায়িকা বলেন, “আমি যেখানেই যাই, সেখানেই সবাই জিজ্ঞাসা করেন উটের দুধের চা কেমন লাগে? এখন থেকে আর এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে না। কারণ তারা নিজেরাই এই দুধের স্বাদ কেমন তা জানতে পারবেন।”

আরো পড়ুন:

হিন্দি সিনেমার ব্যর্থতার দায় কাকে দিলেন আমির?

যুক্তরাষ্ট্রে গোপনে সংসার পেতেছেন জায়েদ খান?

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে উটের দুধ আমদানির কথা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “উটের দুধ দুবাই থেকে বাংলাদেশে আমদানি করব। এই দুধ যাতে সবাই খেতে পারেন, এজন্য ২০০ মিলি.

গ্রামের প্যাকেটও করা হবে।”

তবে উটের দুধের দাম কেমন হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে ঈদুল আজহার আগে বা পরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করবেন বলেও জানান এই নায়িকা।

সাইকো কিলার হিসেবে পর্দায় আসছেন মিষ্টি জান্নাত। ‘সাইকো’ শিরোনামের নতুন একটি ওয়েব ফিল্মে এমন চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। ইতোমধ্যে ওয়েব ফিল্মটির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। এটি পরিচালনা করছেন মাহফুজ রহমান রাজ।

মিষ্টি জান্নাত বলেন, “ব্যক্তিগত কাজ নিয়ে এতদিন ক্যামেরার বাইরে ছিলাম। তবে নতুন বছর নতুন করে বেশ কিছু কাজ শুরু করেছি, যার মাঝে এই ওয়েব ফিল্মটি অন্যতম। এই ফিল্মটিতে একজন সাইকো কিলার হিসেবে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন। নতুন ও ভিন্ন একটি চরিত্রে কাজ করছি, বেশ ভালো লাগছে। আশা করি, দর্শকদেরও ভালো লাগবে।”

তা ছাড়াও বড় বাজেটের দুটো সিনেমার কাজ হাতে নিতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।   

২০১৪ সালে ‘লাভ স্টেশন’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় ক্যারিয়ার শুরু করেন মিষ্টি জান্নাত। এরপর থেকে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে মিষ্টি জান্নাত একজন দন্ত চিকিৎসক। রাজধানীতে তার একটি ক্লিনিকও রয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র দ ধ র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গঙ্গাচড়ায় হিন্দুবাড়িতে হামলা ঠেকাতে ‘পর্যাপ্ত’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
  • দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
  • ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে
  • ডেঙ্গুতে দুজনের, করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু
  • জাওয়াইদেহ বেদুইনদের মৌখিক সাহিত্য
  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন