লেবারকে হারিয়ে ফারাজের রিফর্ম ইউকে পার্টির জয়লাভ
Published: 2nd, May 2025 GMT
যুক্তরাজ্যের রাঙ্কর্ন ও হেলসবি আসনের উপনির্বাচনে লেবার পার্টিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে। ছয় ভোটের ব্যবধানে নাটকীয় এ জয় পেয়েছে দলটি। আসনটিতে গত জাতীয় নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী জিতেছিলেন। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলটি ১৪ হাজার ৬৯৬ ভোটের ব্যবধানে সেখানে জিতেছিল।
বিবিসি জানায়, ওই আসনে লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) মাইক অ্যামসবেরি পদত্যাগ করায় সেখানে উপনির্বাচনের আয়োজন করা হয়। এক ভোটারের ওপর হামলার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।
গ্রেটার লিঙ্কনশায়ারে মেয়র নির্বাচনেও সাফল্য পেয়েছে ডানপন্থি দলটি। রিফর্ম ইউকের প্রার্থী ডেম আন্দ্রেয়া জেনকিন্স সেখানে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক এমপি ছিলেন। এর মধ্য দিয়ে রিফর্ম ইউকে প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের উপনির্বাচন এবং মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে দলটির মোট এমপির সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ।
রাঙ্কর্ন ও হেলসবি আসনের উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর লেবার পার্টি আবার ভোটগণনার দাবি জানায়। কারণ, প্রথম গণনায় দেখা যায়, নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে মাত্র চার ভোটে এগিয়ে আছে।
দ্বিতীয়বার ভোটগণনার পর মাত্র ছয় ভোটের ব্যবধানে রিফর্ম ইউকে বিজয়ী হয়, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে কম ভোটের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। ফল ঘোষণার আগে ভোটগণনার সময় উপস্থিত ছিলেন নাইজেল ফারাজ। তিনি বলেন, এ ফলাফল প্রমাণ করে, আমরাই এখন লেবার পার্টি সরকারের প্রধান বিরোধী দল।
লেবার নেতা ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার স্থানীয় নির্বাচনের ফলকে হতাশাজনক বলেছেন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন এ পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে। তিনি যা চান তা দেখতে তাঁর সরকারকে ‘আরও দ্রুত’ এগিয়ে যেতে হবে বিবিসিকে বলেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ ট র ব যবধ ন
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।