ক্যালিফোর্নিয়ার মার্কিন বর্ডার প্যাট্রোলকে রাজ্যের পূর্বাঞ্চলে ওয়ারেন্ট ছাড়াই অভিবাসীদের আটকানো থেকে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ফেডারেল বিচারক।

এর আগে জানুয়ারিতে দেশটির কার্ন কাউন্টি সীমান্তে কৃষিশ্রমিক ও দিনমজুরদের রাস্তাঘাট, দোকানের সামনে ও পার্কিং লটে থামিয়ে আটক করা হয়। এরপরপরই এ সিদ্ধান্ত আসে আদালত থেকে।

বিচারক জেনিফার থার্স্টন বলেন, শুধু গায়ের রং বাদামি দেখে কাউকে থামানো যাবে না। ভবিষ্যতে এই ধরনের অভিযান চালাতে হলে এজেন্টদের যুক্তিসংগত সন্দেহ বা ওয়ারেন্ট থাকতে হবে।

ইউনাইটেড ফার্ম ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের পক্ষে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) এই মামলাটি করেছে। তারা অভিযোগ করেছে, এসব অভিযান যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী লঙ্ঘন করেছে।

তদন্তে দেখা গেছে ৭৮ জনের মধ্যে ৭৭ জনের সম্পর্কে আগের অপরাধের কোনো তথ্যই ছিল না। অভিযোগ ওঠে, সীমান্তে থাকা প্রহরীরা গাড়ির টায়ার কাটে, গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে দেয় এবং গালিগালাজ করে।

আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের এক আইনজীবী বলেন, এই রায় বলে দেয়- গায়ের রঙের কারণে কাউকে আটকানো যায় না। এটা আইনবিরুদ্ধ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র ক ন য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

এক গুদামের আগুন ছড়াল ১২ গুদামে

তৈরির পোশাক কারখানার উচ্ছিষ্ট (ঝুট) মজুতের গুদাম থেকে সৃষ্ট আগুনে গাজীপুরে পুড়েছে ১০-১২টি গুদাম ও একটি সুতা তৈরির কারখানার অংশ। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে মহানগরের কোনাবাড়ী থানাধীন দেওলিয়াবাড়ী গ্রামের বেলতলা এলাকায় এই আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের কর্মীরা ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুপুর ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে প্রায় আট কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঝুট গুদামের মালিকরা।
এলাকাবাসী জানান, শুরুতে আসাদুল ইসলামের মালিকানাধীন গুদামে আগুন লাগে। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে রুস্তম আলী, তানভীর হাসান, ইসমাইল হোসেনসহ ১২ জনের ভিন্ন ভিন্ন গুদামে। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের সুতা তৈরির কারখানা বায়জান লিমিটেডের দ্বিতীয় তলায়। সেখানে রাখা ঝুট, সুতা ও অন্যান্য পণ্যও পুড়ে যায়।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আগুন দেখে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। অনেকে বাসাবাড়ি থেকে মালপত্র সরিয়ে নেওয়াও শুরু করেন। দুপুর দেড়টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে আগুনের তীব্রতা কমতে থাকে। এ সময় আগুন নেভানোর জন্য স্থানীয় লোকজনও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন।
ক্ষতির শিকার ঝুট ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম ও রুস্তম আলীর ভাষ্য, তাদের সবগুলো গুদামে মজুত ছিল অন্তত আট কোটির টাকার পণ্য। অনেকেই ব্যাংকঋণ নিয়ে ব্যবসা করছিলেন। আগুনে সব পুড়ে গেছে। এখন আর কিছুই নেই তাদের।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সংবাদ পেয়ে শুরুতে ঘটনাস্থলে আসেন কোনাবাড়ী মর্ডান ফায়ার সার্ভিস, কাশিমপুর ডিবিএল ফায়ার সার্ভিসসহ তিনটি ইউনিটের সদস্যরা। আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় গাজীপুর থেকে আরও তিনটি ইউনিটের কর্মীরা যোগ দেন। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে প্রায় আট কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করছেন তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ