হাওরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ: ৩০৮ কোটি টাকার কাজ শেষ করতে তাড়াহুড়া
Published: 4th, May 2025 GMT
সুনামগঞ্জে ১৪টি হাওরের ফসল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) একটি বিশেষ প্রকল্পে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ করছে। ৩০৮ কোটি টাকার এই কাজ শুরুর ‘এক বছরে’ অর্ধেক হয়নি। প্রকল্পের মেয়াদ আছে আর দুই মাস। এই সময়ের মধ্যে যেনতেনভাবে কাজ শেষ করার তৎপরতা চালাচ্ছেন ঠিকাদারেরা। এমন অবস্থায় কাজে নানা অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জেলার তিনটি উপজেলার কয়েকটি প্রকল্প ঘুরে দেখার সময় স্থানীয় লোকজন, কৃষক, জনপ্রতিনিধিরা এ অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলছেন, বর্ষা চলে আসায় এখন কাজ শেষ করা কঠিন হবে। আবার অসম্পূর্ণ কাজ বর্ষায় হাওরের ঢেউ–পানির তোড়ে টিকবে কি না, এ নিয়ে সংশয় রয়েছে।
ঢাকা, নোয়াখালী, নেত্রকোনা ও সিলেটের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসব কাজ করছে। আগামী জুনে এসব প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।পাউবোর কর্মকর্তারা কাজে অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নানা কারণে সময়মতো কাজ করা যায়নি দাবি করে তাঁরা বলছেন, এখন পর্যন্ত গড়ে ৬০ শতাংশ কাজ হয়েছে। বিল দেওয়া হয়েছে ৪৫ শতাংশ। যেহেতু সময়মতো কাজ শেষ হবে না, তাই সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হবে।
২০১৭ সালে সুনামগঞ্জে হাওরে ব্যাপক ফসলহানির পর বাঁধের কাজ থেকে ঠিকাদারদের বাদ দেওয়া হয়। ২০১৮ সাল থেকে স্থানীয় কৃষক ও সুবিধাভোগীদের নিয়ে গঠিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ হচ্ছে। এবার ১২৭ কোটি টাকা প্রাক্কলন ধরে ৬৮৭টি প্রকল্পে ৫৯৫ কিলোমিটার বাঁধের কাজ হয়েছে। যেহেতু এই কাজে সবাই যুক্ত, তাই এটি নিয়ে সব মহলে আলোচনা ও সতর্কতা ছিল। এর ফাঁকে পাউবো অনেকটা নীরবে ঠিকাদারদের দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে।
স্থানীয়রা বলছেন, বেশির ভাগ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে। একই সঙ্গে পিআইসির ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হওয়ায় মানুষ বুঝতে পারেননি কোনটা স্থায়ী আর কোনটা পিআইসির কাজ।কাজই শুরু হয়েছে দেরিতে
বন্যা ব্যবস্থাপনা পুনর্গঠন জরুরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় গত বছর জেলার ৭টি উপজেলায় ১৪টি হাওরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ১৭টি প্রকল্প নেওয়া হয়। এতে ৩০৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে বলে পাউবো সূত্রে জানা গেছে। এসব প্রকল্পে মাটি, বালু, জিও ব্যাগ এবং বাঁধের দুই পাশ ও ওপরে আরসিসি ব্লক দেওয়ার কাজ রয়েছে। সব মিলিয়ে ১৭টি প্রকল্পে ১৬ দশমিক ১৪ কিলোমিটার বাঁধের কাজ হওয়ার কথা।
ঢাকা, নোয়াখালী, নেত্রকোনা ও সিলেটের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসব কাজ করছে। আগামী জুনে এসব প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। কাগজপত্রে কোনোটির কাজ শুরু দেখানো হয়েছে গত বছরের জানুয়ারি, কোনোটি মার্চে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, বেশির ভাগ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে। একই সঙ্গে পিআইসির ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হওয়ায় মানুষ বুঝতে পারেননি কোনটা স্থায়ী আর কোনটা পিআইসির কাজ।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, বৃষ্টি শুরু হয়েছে, হাওরে পানি চলে আসছে। তাই বাকি দুই মাসে কোনো অবস্থাতেই এসব বাঁধের কাজ শেষ করা সম্ভব নয়।যেনতেনভাবে কাজটা শেষ করার চেষ্টা
শান্তিগঞ্জ উপজেলার খাই হাওরে স্থায়ী বাঁধের দুটি প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। এগুলোতে এখনো ভালোভাবে মাটির কাজই শেষ হয়নি। এর মধ্যেই তাড়াহুড়া করে ব্লকের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, খাই হাওরের আসামুরা স্লুইসগেট থেকে একটি ফসল রক্ষা বাঁধ গেছে একেবারে হাওরের পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের লাউগাঁও গ্রাম পর্যন্ত। পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই বাঁধের দুটি স্থানে স্থায়ী কাজ হচ্ছে। বাকি অংশ পিআইসির মাধ্যমে কাজ হয়েছে। আসামুরা গ্রামের পাশ থেকে বাঁধের ভেদাখালী পর্যন্ত অংশের কাজ পেয়েছে ঢাকার মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড সন্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ (ক্লোজার) অংশে দুটি এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে মাটি ফেলা হচ্ছিল। আবার একাংশে নদীর তীর ঘেঁষে বসানো হচ্ছে কিছু পাকা ব্লক। উত্তর পাশে বাঁধের কিছু অংশ বৃষ্টিতে ধসে গেছে। স্থানীয় দুজন বাসিন্দা কাজ দেখিয়ে বলেন, বর্ষায় এসব মাটি আর ব্লক থাকবে না। এই কাজ যদি শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে করা হতো, তাহলে টেকসই হতো। এখন যেনতেনভাবে কাজটা শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, বৃষ্টি শুরু হয়েছে, হাওরে পানি চলে আসছে। তাই বাকি দুই মাসে কোনো অবস্থাতেই এসব বাঁধের কাজ শেষ করা সম্ভব নয়।
কাজের দেখভালে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি কামরুল হাসান বলেন, মাঝখানে বৃষ্টি হওয়ায় এক্সকাভেটর চালাতে সমস্যা হয়েছে। এখন মাটি এবং ব্লকের কাজ দুটিই চলছে। বর্ষা আসার আগে কাজ দ্রুত এগিয়ে নেবেন বলে জানান তিনি। কাজে বিলম্বের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, মাটি না পাওয়া একটা বড় সমস্যা। আবার ড্রেজার দিয়েও মাটি আনা যায় না।
বাঁধের ভেদাখালীর পর থেকে বাকি অংশে যৌথভাবে কাজ করছে আতাউর রহমান খান লিমিটেড ও মেসার্স প্রীতম এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান। ওই বাঁধেও এখনো মাটির কাজ করতে দেখা যায়। নদীতীরবর্তী অংশে দুটি স্থানে কিছু ব্লক বিছানো হয়েছে। আবার উত্তর পাশে মাটি খাড়াভাবে থাকায় বৃষ্টিতে কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই বাঁধের কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাউকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক শহীদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, মাটির ওপর বালু, জিও ব্যাগ দিয়ে পরে ব্লক বসানোর কথা। কিন্তু অনেক স্থানে বালু দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় দুর্বাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, কাজে গাফিলতি আছে। তদারকি ঠিকমতো হচ্ছে না। বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। আর বড়জোর এক সপ্তাহ কাজ করা যাবে। পরে বর্ষায় কাজ বন্ধ রাখতে হবে। আবার যে ব্লক, মাটি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বর্ষায় ধসে যাবে। এক বছর আগের কাজ এখন তাড়াহুড়ায় শেষ করতে গিয়ে কাজের মানও খারাপ হচ্ছে।
একইভাবে দিরাই উপজেলা বরাম হাওরে এবং বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা করচার হাওরের প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, এখনো মাটির কাজই শেষ হয়নি। বরাম হাওরের কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নুনা ট্রেডার্সের প্রতিনিধি ভজন তালুকদার জানান, মাটির কাজ শেষ। এখন ব্লক দিচ্ছেন। কাজে অনিয়ম হচ্ছে না।
হাওরের দুর্গম এলাকায় এসব কাজ হচ্ছে। নির্মাণসামগ্রী নেওয়া কঠিন। অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। শ্রমিকেরা থাকতে চান না। স্থানীয় লোকজনও কিছু সমস্যা করেন।নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মামুন হাওলাদার
সময় বাড়ানোর চিন্তা
কাজে অনিয়ম কিংবা ঠিকাদারের গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ সুনামগঞ্জ পাউবোর পওর বিভাগ-১–এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার ও পওর বিভাগ-২–এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক।
মো. এমদাদুল হক বলেন, হাওরে সবকিছু সময় ধরে করা যায় না। জলমহালে ইজারা আছে, মাটি কাটলে পানি চলে যাবে; আবার কোথাও কোথাও মাটির সংকট—মানুষের এসব কথার কারণে প্রথম দিকে কাজ শুরু করা যায়নি।
মো. মামুন হাওলাদার বলেন, হাওরের দুর্গম এলাকায় এসব কাজ হচ্ছে। নির্মাণসামগ্রী নেওয়া কঠিন। অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। শ্রমিকেরা থাকতে চান না। স্থানীয় লোকজনও কিছু সমস্যা করেন।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক বলেন, ‘এই কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এটি নিয়ে পাউবো লুকোচুরি করছে। হাওরে ঠিকাদারি কাজের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। ঠিকাদার-পাউবো মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। দেখবেন, পানি আসার পর বাঁধ ডুবে গেলে অগ্রগতি প্রতিবেদনে শতভাগ কাজ দেখানো হতে পারে। অতীতে এমনটা আমরা দেখেছি।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক জ শ ষ কর প রকল প র প আইস র এসব ক জ ক জ করছ হ ওর র বর ষ য় ক জ কর এই ক জ সমস য বলছ ন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
পরাবাস্তবতার আবেদন কি ফুরিয়েছে
অবচেতনের মানচিত্র ধরে এক অন্তহীন অভিযাত্রা কবি–সাহিত্যিকেরা যুগ যুগ ধরে করে আসছেন। সাহিত্যের দীর্ঘ যাত্রাপথে এমন কিছু বাঁক আসে, যা তার গতিপথকে চিরতরে বদলে দেয়। পরাবাস্তবতা বা সুররিয়ালিজম ছিল এমনই এক যুগান্তকারী আন্দোলন, যা কেবল শিল্পের আঙ্গিক নয়; বরং শিল্পীর বিশ্ববীক্ষা এবং আত্মবীক্ষণকে সম্পূর্ণ নতুন এক দর্শন দান করেছিল। এটি ছিল বিংশ শতাব্দীর ইউরোপের এক ক্ষতবিক্ষত সময়ের সন্তান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ, ভিক্টোরীয় যুগের শুষ্ক নৈতিকতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের অতিনিয়ন্ত্রিত যুক্তিবাদ—এই সবকিছুর বিরুদ্ধে পরাবাস্তবতা ছিল এক শৈল্পিক ও দার্শনিক বিদ্রোহ। এর মূল লক্ষ্য ছিল মানব মনের সেই গভীরে প্রবেশ করা, যেখানে যুক্তির আলো পৌঁছায় না; সেই অবচেতনের অন্ধকার মহাসাগর থেকে তুলে আনা বিস্মৃত স্বপ্ন, অবদমিত ইচ্ছা আর আদিম প্রবৃত্তির মণি–মুক্তা। পরাবাস্তবতা তাই কেবল একটি শিল্পরীতি নয়, এটি চেতনার শৃঙ্খলমুক্তির এক দুঃসাহসী ইশতেহার।
১৯২৪ সালে ফরাসি কবি ও লেখক আঁদ্রে ব্রেটন তাঁর ‘পরাবাস্তবতার প্রথম ইশতেহার’ (ম্যানিফেস্টো অব সুররিয়ালিজম) প্রকাশের মাধ্যমে এই আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। ব্রেটনের সংজ্ঞায়, পরাবাস্তবতা হলো, ‘বিশুদ্ধ মানসিক স্বয়ংক্রিয়তা, যার মাধ্যমে মুখ বা লেখনী দিয়ে অথবা অন্য যেকোনো উপায়ে চিন্তার আসল কার্যকারিতাকে প্রকাশ করার ইচ্ছা পোষণ করা হয়। এটি যুক্তির সমস্ত নিয়ন্ত্রণ থেকে এবং সকল প্রকার নান্দনিক ও নৈতিক উদ্দেশ্য থেকে বিযুক্ত চিন্তার এক শ্রুতলিখন।’
এই দর্শনের প্রধান পাথেয় ছিল ভিয়েনার মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েডের যুগান্তকারী মনঃসমীক্ষণ তত্ত্ব। ফ্রয়েড দেখিয়েছিলেন যে মানুষের সচেতন মনের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক বিশাল অবচেতন জগৎ, যা তার আচরণ, স্বপ্ন ও ব্যক্তিত্বকে নিয়ন্ত্রণ করে। পরাবাস্তববাদীরা ফ্রয়েডের এই তত্ত্বকে লুফে নিয়েছিলেন। তাঁদের কাছে শিল্পসৃষ্টির উদ্দেশ্যই ছিল যুক্তির সেন্সরশিপকে ফাঁকি দিয়ে অবচেতন মনের এই লুকানো জগৎকে উন্মোচিত করা। তাঁরা চেয়েছিলেন, স্বপ্ন ও বাস্তবতাকে একীভূত করে এক ‘পরম বাস্তবতা’ বা ‘সুররিয়ালিটি’ তৈরি করতে।
পরাবাস্তবতা ছিল বিংশ শতাব্দীর ইউরোপের এক ক্ষতবিক্ষত সময়ের সন্তান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ, ভিক্টোরীয় যুগের শুষ্ক নৈতিকতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের অতিনিয়ন্ত্রিত যুক্তিবাদ—এই সবকিছুর বিরুদ্ধে পরাবাস্তবতা ছিল এক শৈল্পিক ও দার্শনিক বিদ্রোহ।পরাবাস্তবতার পদযাত্রা প্যারিসের শৈল্পিক পরিমণ্ডল থেকে শুরু হলেও এর ঢেউ খুব দ্রুতই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আঁদ্রে ব্রেটন ছিলেন এই আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা, কিন্তু তাঁর ছত্রচ্ছায়ায় সমবেত হয়েছিলেন বহু প্রতিভাবান স্রষ্টা, যাঁরা নিজ নিজ ভাষায় ও সংস্কৃতিতে পরাবাস্তবতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন।
আঁদ্রে ব্রেটন (জন্ম: ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৬—মৃত্যু: ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৬৬)